গতকাল প্রধানমন্ত্রী ভাষণে উল্লেখ করেন, দেখে নেওয়া যাক, ‘ওয়াই টু কে’ সঙ্কট কী ছিল?
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 13 May 2020 12:09 PM (IST)
এই শতাব্দী শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে কম্পিউটারে তারিখের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন বিজ্ঞানীরা।
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণে ‘ওয়াই টু কে’ সঙ্কটের কথা উল্লেখ করার পর থেকে ২০ বছরের পুরনো সেই ঘটনা নিয়ে ফের দেশজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, কী ছিল ‘ওয়াই টু কে’ সমস্যা? বিশ্বজুড়ে কেন এই বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা? এই শতাব্দী শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে কম্পিউটারে তারিখের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, ২০০০ সাল শুরু হওয়ার পর কম্পিউটার পুরনো তারিখই মনে রাখবে। তার ফলে হিসেবের গোলমাল হবে। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি কম্পিউটারে লিখলেন, ২০.০৩.০১। কম্পিউটার এই তারিখটিকে ২০.০৩.১৯০১ ধরে হিসেব করবে। কারণ, ২০০০ সাল শুরু হওয়ার আগে সাধারণ বছর চার সংখ্যায় লেখা হত না। ৯৮,৯৯ এভাবেই লেখা হত। কিন্তু ২০০০ সাল থেকেই চার সংখ্যায় বছর লেখা শুরু হয়। এর ফলে সমস্যা হবে বলে মনে করছিলেন অনেকে। এই আশঙ্কাতেই ঘুম উড়ে গিয়েছিল তাবড় বিজ্ঞানী ও ব্যবসায়ীদের। শেষপর্যন্ত অবশ্য বিজ্ঞানীরা এই সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন। তার ফলে কোনও গোলমাল হয়নি। দু’দশকের পুরনো সেই সমস্যার কথাই উঠে এল গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। তিনি ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের কথা বলতে গিয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতার কথা উল্লেখ করেন। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পাঁচবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। গতকাল তিনি ২০ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছেন। চতুর্থ দফার লকডাউনের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি।