অভিজিৎ বসু বর্তমানে মোবাইল পেমেন্ট সলিউশন সংস্থা ইজিট্যাপের সিইও পদে ছিলেন। তিনি এই সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতাও। আগামী বছরের শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন অভিজিৎ।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কালে ভারত সরকার এই অনলাইন মেসেজিং সংস্থার ওপর তাদের প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হওয়া খবরগুলির ওপর নজরদারি চালানোর বিষয় চাপ সৃষ্টি করছিল। ভারত সরকারের দাবি ছিল, এখানে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন খবরের জেরে দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া খবর বহু লোকের মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়াচ্ছিল এদেশে। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, হয়তো সেই চাপের মুখেই শেষ পর্যন্ত ভারতের জন্যে আলাদা করে টিম গঠন করল হোয়াটসঅ্যাপ। অভিজিৎ বসুকে নিয়োগ করা হল কান্ট্রি হেড হিসেবে। প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের সদর দফতর ক্যালিফোর্নিয়া বাদে এই প্রথম পৃথকভাবে কোনও নির্দিষ্ট দেশের জন্য আলাদা টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নিল।
বর্তমানে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রায় ২০০ মিলিয়ন গ্রাহক রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের মধ্যে ভারতে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম বৃহৎ গ্রাহক সংখ্যা।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াটসঅ্যাপের সিওও ম্যাট ইডেমা জানিয়েছেন, একজন উদ্যোগপতি হিসেবে অভিজিৎ খুব ভালভাবেই জানেন কীভাবে সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভারতে তাঁদের ব্যবসা বাড়াতে হবে।
একনজরে দেখে নেব কে এই অভিজিৎ বসু
- কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে নিজের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন অভিজিৎ।
- প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগেই এই ম্যাসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে যেভাবে ভারতের শান্তি বিঘ্নিত হয়, তাতে চিন্তিত ছিলেন এদেশের সরকার। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এরপরই জরুরি বৈঠকে বসেন ভারত সরকারের প্রতিনিধি দল। তারপরই বিশ্বের মধ্যে প্রথম কোনও দেশের জন্যে পৃথক টিম গঠন করে একজন কান্ট্রি হেড নিয়োগ করল হোয়াটসঅ্যাপ।
- ভারতের আর্থিক উন্নয়নে ভবিষ্যতে বিশেষ ভূমিকা থাকবে হোয়াটসঅ্যাপের। শুধু পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নয়, ব্যবসায়িক কাজেও গুরুত্ব বাড়ছে এই অনলাইন ম্যাসেজিং অ্যাপের। অভিজিতের মোট ১৭ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সফটওয়্যার এবং মোবাইল মার্কেটে তিনি দীর্ঘদিন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাক্ট মার্কেটিং এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টে তাঁর বহু অভিজ্ঞতা রয়েছে।
২০১১ সালে ইজিট্যাপের প্রতিষ্ঠার আগে, ফিন্যান্সিয়াল সফটওয়্যার সংস্থা ইনটুইটের প্রোডাক্ট হেড ছিলেন অভিজিৎ।