যোধপুর: কংগ্রেস হিন্দুধর্ম সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাদের তীব্র সমালোচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। পাল্টা তিনি কটাক্ষের সুরে জানতে চেয়েছেন, কংগ্রেস হিন্দুধর্ম নিয়ে এত জ্ঞান কোথা থেকে পেল! গত শনিবার রাহুল গাঁধী এক বণিক সভায় বলেন, হিন্দুধর্মের মর্ম কী? গীতায় কী বলা আছে? বলা হয়েছে, সবার মধ্যেই জ্ঞান আছে। চারপাশে সব কিছুর মধ্যে আছে। প্রতিটি জীবন্ত সত্তার মধ্যে জ্ঞান আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি হিন্দু, কিন্তু হিন্দুধর্মের মৌলিক বোধই তাঁর নেই। কেমন হিন্দু উনি? আজ পাল্টা মোদি বলেন, হিন্দুধর্ম বিষয়টা এত গভীর যে, যে মুনি, ঋষিরা পুঁথি লিখেছেন, তাঁরাও দাবি করতে পারেননি, সব জানেন। হিন্দুধর্মের পরিধি এতই বিশাল যে মানুষের পক্ষে সবটা একসঙ্গে জানাই সম্ভব নয়। আমি কামদার, কখনই বলিনি, হিন্দুধর্মের সব কিছু জানি। তবে নামদার তা বলতে পারেন। কংগ্রেস সভাপতির অভিজাত বংশপরিচয়ের ইস্যু তুলে তাঁকে তিনি ‘নামদার’ বলে থাকেন।
এদিন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের প্রসঙ্গও তোলেন মোদি। সভায় প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, সর্দার বল্লভভাই পটেল বিদেশি আগ্রাসনকারীদের হামলায় ধ্বংস হওয়া যে সোমনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণ করেছিলেন, দেশবাসীর প্রতি তা উত্সর্গ করার অনু্ষ্ঠানে রাজেন্দ্র প্রসাদের যাওয়ার আপত্তি করেছিলেন নেহরু। সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদের শতবর্ষ উদযাপন চলছে দেশে। মোদি রাহুলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, আপনি হিন্দুধর্ম নিয়ে এত কিছু যখন জানেন, তাহলে বলতে পারেন, সোমনাথের পুনর্নির্মাণের পর সেখানে রাজেন্দ্র প্রসাদের যাওয়ার বিরোধিতা কেন করেছিলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী?
নাম না করেও স্পষ্ট নেহরুকে ইঙ্গিত করে মোদী মন্তব্য করেন, উনি পোশাকে গোলাপ লাগাতেন, বাগান সম্পর্কেও জানতেন বটে, কিন্তু চাষবাস বা চাষিদের বিষয়ে কিছুই জানতেন না, যে কারণে কৃষক সমাজকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।
কংগ্রেস মিথ্যা ছড়ানোর বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করে মোদী কটাক্ষ করেন, যে যত বেশি মিথ্যা বলতে পারে, সে ওই দলে নতুন পদ পায়। রাহুল গাঁধীরও মিথ্যা বলার দারুণ ক্ষমতা আছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, কংগ্রেসের স্বপ্ন সব রাজ্যেই চুরমার হয়েছে। রাজস্থানেও হবে। রাজস্থানে এক দলকে সরিয়ে অন্য দলের ক্ষমতা দখলের প্রবণতা মাথায় রেখে বিরোধী দলটি ভাবছে এবার ক্ষমতা পাবে, কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে তারা ভুল প্রমাণিত হবে।