মুম্বই ও কলকাতা: শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ঘিরে এবার উদ্ধব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে সংঘাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।


মহারাষ্ট্রে করোনা-আক্রান্তর হার রীতিমতো উদ্বেগজনক। দেশের এক-তৃতীয়াংশের বেশি করোনা-আক্রান্ত মহারাষ্ট্রেই। মুম্বইতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র থেকে আসছে আরও ৪১টি ট্রেন। মহারাষ্ট্র থেকে আজই ছাড়ছে একাধিক ট্রেন। এই ট্রেনগুলি আসবে হাওড়া স্টেশনে।


জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে আরও ৪১টি ট্রেন পাঠানোর কথা জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র প্রশাসন। তাদের সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। মঙ্গলবার, রাজ্য প্রশাসন মাত্র ৩টে ট্রেন ঢোকার অনুমতি দিয়েছিল। তবে, ইতিমধ্যে, ৪১টি ট্রেন আজই মহারাষ্ট্র থেকে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বলে খবর।


সঙ্কটের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ট্রেনগুলিকে অন্য রুটে পাঠানো বা বাতিল করা ঠিক নয়। কারণ, তা ঘরে ফিরতে ইচ্ছুক পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে বড় ধাক্কা হবে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, দুরাজ্যের দ্বন্দ্বের মধ্যে তারা মাথা গলাবে না। তবে, পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ সকলের মাথায় রাখা উচিত বলেই মনে করছে তারা। এই প্রেক্ষিতে, যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করেছে রেল।


এর আগে, ২৬ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে কোনও শ্রমিক স্পেশাল না পাঠানোর জন্য রেজ বোর্ডকে অনুরোধ করেছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা চিঠিতে লেখেন, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে রাজ্যের একাধিক জেলা বিধ্বস্ত।  জেলা প্রশাসন ত্রাণ ও পুনবার্সনের কাজে ব্যস্ত।  এই অবস্থায় প্রশাসনের পক্ষে আগামী কয়েকদিন শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীদের এ রাজ্যে আসার পর বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।  তাই আগামী ২৬ মে পর্যন্ত রাজ্যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন যেন না পাঠানো হয়।  ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য চালু হয়েছে ওই ট্রেন পরিষেবা।


কিন্ত, নবান্নর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের আপত্তিকে গুরুত্ব না দিয়ে আসছে ট্রেন। ‘মহারাষ্ট্র-রেল বোর্ডের পরিকল্পনায় আসছে ট্রেন’, অভিযোগ রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র থেকে এসেছে ৬টি ট্রেন।