জেনেভা:  সারা বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের দাপট। জনজীবন থেকে শুরু করে অর্থনীতি-সর্বত্রই ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে এই অতিমারী। করোনার মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সারা বিশ্বেই টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর ইউরোপীয় ডায়রেক্টর শুক্রবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জনসংখ্যার কম করে ৭০ শতাংশের টিকাকরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অতিমারীর অবসান হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ রিজিওনাল ডায়রেক্টর হান্স ক্লুগ একইসঙ্গে বলেছেন, ভাইরাসের নয়া স্ট্রেনের ক্রমবর্দ্ধমান সংক্রমণও উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেছেন, উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা জানি যে বি.১৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট বি.১১৭ (ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্ট)-এর তুলনায় বেশি সংক্রামক। যেখানে বি.১১৭ আগের স্ট্রেনের চেয়ে বেশি সংক্রামক ছিল। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের ইউরোপীয় রিজিওনে মধ্য এশিয়ার বেশ কিছু দেশ ও অঞ্চল রয়েছে। এই অঞ্চলে জনসংখ্যার মাত্র ২৬ শতাংশর করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনসংখ্যার ৩৬.৬ শতাংশ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। অন্যদিকে, ১৬.৯ শতাংশ দুটি ডোজই  পেয়েছে। 
ভ্যাকসিন কার্যকরী, কিন্তু সবাইকে কোভিড-বিধি পালন করতে হবে
ক্লুগ বলেছেন, টিকা করোনার মিউটেশনের বিরুদ্ধে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু এরপরও লোকজনকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, আসুন শেষপর্যন্ত কোভিড-১৯ কে লাল কার্ড দেখাই। কোভিড-১৯ কে অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। সেইসঙ্গে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও  মাস্ক পরার মতো স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ তিনি আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
টিকাকরণ দ্রুত করার প্রয়োজন
হু-র ইউরোপীয় অঞ্চলের অধিকর্তা ক্লুগ বলেছেন, আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধু গতি। সময় আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। টিকাকরণের গতিও এখন বেশ মন্থর। এর গতি দ্রুত করতে হবে। টিকার সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন। 
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমারজেন্সি বিভাগের প্রধান মাইকেল রিয়ান বলেছেন, কোভিড-১৯ এর উৎস খোঁজার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাজনীতি। এ ব্যাপারে যাবতীয় রহস্য উন্মোচনের জন্য বিজ্ঞানীর সুবিধার প্রয়োজন। তিনি বিজ্ঞান থেকে রাজনীতিকে আলাদা রাখার কথাও বলেছেন।