ইউনিয়ম রুম খালি করে দিতে বলল কর্তৃপক্ষ, নারাজ জেএনইউ ছাত্র সংসদ
Web Desk, ABP Ananda | 16 Oct 2019 08:16 PM (IST)
নোটিসের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তির অপব্যবহার রুখতে সংসদ কক্ষ অবিলম্বে তালাবন্ধ করে দিতে হবে, আবার সংসদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তা তার হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। যদিও এদিন বিকাল ৫টার মধ্যে সংসদ কক্ষ ফাঁকা করে দিতে বলা হলেও জেএনইউএসইউ সেই নির্দেশ মানেনি, মানবেও না বলে জানিয়েছে।
নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (জেএনইউএসইউ) কে তাদের দপ্তর খালি করে দিতে বলল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে সংসদকে নোটিস পাঠিয়েছিলেন ডিন অব স্টুডেন্টস প্রফেসর উমেশ কদম। তাতে বলা হয়, গত বছর জেএনইউএসইউ গঠনের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি লিংডো কমিশনের রিপোর্ট পালন করা হয়নি বলে, চলতি বছরের নির্বাচিত ছাত্র সংসদও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঘোষণা করা হয়নি। উপরন্তু বিষয়টি বিচারাধীন। নোটিসের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তির অপব্যবহার রুখতে সংসদ কক্ষ অবিলম্বে তালাবন্ধ করে দিতে হবে, আবার সংসদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তা তার হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। যদিও এদিন বিকাল ৫টার মধ্যে সংসদ কক্ষ ফাঁকা করে দিতে বলা হলেও জেএনইউএসইউ সেই নির্দেশ মানেনি, মানবেও না বলে জানিয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচনের পর গঠিত নতুন ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি সাকেত মুন বলেছেন, বিকাল ৫টা নাগাদ রক্ষীরা এসেছিলেন, কিন্তু আমরা প্রচুর সংখ্যায় জড়ো হয়েছিলাম। ওরা কিছু করতে পারেনি। আমরা এই অফিস দেব না। ছাত্র সংসদের বক্তব্য, জেএনইউএসইউ) সাড়ে ৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর। কর্তৃপক্ষের আমাদের জায়গা বন্ধ করে দেওয়ার এক্তিয়ার নেই। কর্তৃপক্ষের নির্দেশের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে প্রতিবাদের ডাক দিয়ে সংসদ বলেছে, জেএনইউএসইউ পড়ুয়াদের ভোটে নির্বাচিত, তারা তাকে বৈধতা দিয়েছে। তারা আরও বলেছে, টেফলাসের অফিসটি ডিনের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, আমাদের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের প্রতীক। ছাত্রসমাজের কাছে আবেদন করছি, আমাদের অধিকারের ক্ষেত্র বন্ধ করে দেওয়ার জেএনইউ কর্তৃপক্ষের ফরমান রুখতে সবাই হাত মেলান। বর্তমান জেএনইউ ছাত্র সংসদ তৈরি হয়েছে আইসা, এসএফআই, এআইএসএফ, ডিএসএফ-এই চার বাম ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে। এই জোট সাম্প্রতিক নির্বাচনে চারটি কেন্দ্রীয় পদের সবগুলিতেই জিতেছে। যদিও দুই পড়ুয়া অংশুমান দুবে ও অমিত কুমার দ্বিবেদীর পেশ করা পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট প্রথমে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণায় স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। পরে আদালত ফল প্রকাশে সবুজ সংকেত দেয়।