আইআইটি দিল্লির একটি অনুষ্ঠানে দিল্লি এসেছিলেন শিবন। তিনি বলেন, চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ের যে প্রযুক্তি ভারতের রয়েছে, তা হাতে কলমে করে দেখাতে হবে। এ ব্যাপারে কাজ চলছে, তবে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। চন্দ্রযান ২ এখনও চাঁদের কক্ষপথে ঘুরছে, তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ যাবতীয় তথ্য বার করাই আপাতত ইসরোর লক্ষ্য। আগামী মাসগুলিতে একঝাঁক অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে চলেছে তারা।
শিবন আরও বলেছেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেখতে গেলে চাঁদের বুকে আমরা সফট ল্যান্ডিং করতে পারিনি ঠিকই কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ মিটার দূর পর্যন্ত যাবতীয় যন্ত্রপাতি ঠিকমত কাজ করেছিল। সব কিছু ঠিকঠাক করে তোলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। আমি কথা দিচ্ছি, আগামী কিছুদিনের মধ্যে চাঁদে সফট ল্যান্ডিংয়ের জন্য ইসরো তার যাবতীয় অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগাবে। তাঁর কথায়, চন্দ্রযান ২-তেই এই পথের শেষ নয়। হাতে রয়েছে আদিত্য এল১ সৌর মিশন, মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কাজও চলছে। ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে পাঠানো হবে প্রথম এসএসএলভি বা স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল। শিগগিরই ২০০ টন ওজনের সেমি ক্রায়ো ইঞ্জিনের পরীক্ষা শুরুর পালা।
নিজস্ব লঞ্চ ভেহিকল তৈরি করতে ইসরো ব্যর্থ হয়েছে ঠিকই কিন্তু তারা চাঁদ ও মঙ্গলে পৌঁছে গিয়েছে। বলেছেন ইসরো প্রধান। ব্যর্থতা সত্ত্বেও ইসরোর সাফল্য পাওয়ার আকাঙ্খা রয়েছে, মন্তব্য করেছেন তিনি।