নয়াদিল্লি:  দেশজুড়ে জাঁকিয়ে ঠাণ্ডা। কনকনে শীতে কাঁপছে রাজধানী। শনিবার ও রবিবার দেশের আরও ৫ রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। এবছর ডিসেম্বরে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গতকালই – ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লোধি রোড এলাকায় তাপমাত্রা একধাক্কায় নামল ১.৭ ডিগ্রিতে। বহুবছর পর এত কম তাপমাত্রার সাক্ষী থাকল রাজধানী শহর। ১২০ বছরে শীতলতম দিল্লি। এর আগে সবথেকে ঠান্ডা পড়েছিল ১৯০১ সালের ডিসেম্বর মাসে।
পূর্বাভাস অনুসারে, দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের বেশ কয়েক জায়গায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, রবিবার উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লিকে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ চড়েছে। বিহারের বিভিন্ন এলাকাতেও আগের থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে। মধ্যপ্রদেশে ১ ডিগ্রি পর্যন্ত উষ্ণতা বেড়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, পশ্চিম রাজস্থান ও পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে রবিবার সকালেও তাপমাত্রা নেমেছে।
শুক্রবার থেকেই দেশজুড়ে শীতের কামড় অনুভূত হচ্ছে। শনিবার ডাল লেক জমে বরফ হয়ে যায়। রাজস্থানের মাউন্ট আবুতেও মাইনাসে নামে পারদ। সিকিমের নাথুলায় প্রবল তুষারপাতে আটকে পড়া বহু পর্যটককে উদ্ধার করে সেনা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী দু’দিন এ-রাজ্যেও শৈত্যপ্রবাহ চলবে। মঙ্গলবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা। ১ থেকে ৩ জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিও হতে পারে।। এদিকে, কলকাতায় শনিবার ছিল মরশুমের শীতলতম দিন। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। এর আগে, ২০ ডিসেম্বর পারদ নেমেছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে।
এদিকে, পারদ পতনের নিরিখে গতকাল আন্টার্কটিকাকেও ছাপিয়ে যায় দ্রাস এবং কার্গিল। আন্টার্কটিকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যেখানে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে লাদাখের দ্রাসে পারদ নামে মাইনাস ৩১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। কারগিলের পারদ নামে মাইনাস ২৭ ডিগ্রিতে এবং লে মাইনাস ২০ ডিগ্রিতে। গতকাল শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫.৬ ডিগ্রি। আর পহেলগামের পারদ নামে মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তরাখণ্ড,  হিমাচলের বহু জায়গার পারদ এখন হিমাঙ্কের নীচে। বরফে ঢেকেছে কেদারনাথ মন্দির।