নয়াদিল্লি: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছাড়ার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিলেন রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। তাঁর ট্যুইট, ‘জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে কংগ্রেস ছাড়তে দেখা দুর্ভাগ্যজনক। আমার মনে হয়, দলের মধ্যে সবার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া যেত।’


কংগ্রেসের তরুণ নেতাদের অন্যতম জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেস ছাড়ার পর এবার রাজনৈতিক মহলের নজরে সচিন। অনেকেই মনে করছেন, এবার রাজস্থানের এই তরুণ নেতাও কংগ্রেস ছাড়তে পারেন। কারণ, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের সঙ্গে সচিনের সম্পর্ক বিশেষ ভাল নয়। তাঁদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলছে। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার পর জ্যোতিরাদিত্যর মতোই সচিনও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবিদার ছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বকে গহলৌত বোঝান, তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলকে ভাল ফল করতে সাহায্য করবেন। সেই কারণে সচিনকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবি ছেড়ে দিতে রাজি করান রাহুল গাঁধী। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে রাজস্থান থেকে কংগ্রেস একটিও আসন না পাওয়ার পর সচিনের অনুগামীরা দলীয় নেতৃত্বে বদল আনার দাবি তোলেন। গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকবার রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন সচিন। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, জ্যোতিরাদিত্যর সঙ্গে দূরত্ব দলেই আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যেত বলে কি সচিন এটাই বোঝাতে চাইলেন যে কংগ্রেসে এখন আলোচনার পরিবেশ নেই?

রাহুল কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর দলে জ্যোতিরাদিত্য ও সচিনের গুরুত্ব বেড়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর রাহুল পদত্যাগ করায় ফের প্রবীণ নেতারা গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। সেই কারণেই এবার সচিনকে নিয়েও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।