খড়্গপুর: পাখির চোখ ভোটে। বিজেপির গড় পশ্চিম মেদিনীপুরে দরাজহস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার খড়্গপুরের প্রশাসনিক সভা করেন তিনি। সেখানেই তিনি একাধিক ঘোষণা করেন।


এদিন বৈঠক থেকে মেদিনীপুরের জন্য একাধিক বরাদ্দ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেমন ‘কর্ণগড় মন্দিরের সংস্কারের জন্য ১ কোটি টাকা ও খড়গপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন তিনি।


মমতা জানিয়ে দেন, ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে কেন্দ্র ১০০% দিলে আপত্তি নেই। বলেন, ‘যাঁদের রেশন কার্ড নেই, তাঁদের কুপন দেওয়া হয়েছে।' একইসঙ্গে তাঁর ঘোষণা, তফশিলিদের কেউ ৬০ বছর হলেই পেনশন পাবেন।


‘তফশিলি, সংখ্যালঘুদের প্রকল্পের টাকা দ্রুত রূপায়িত করতে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। পরিযায়ী শ্রমিকরা যারা এখানে কাজ করতে চায়, কাজ দিতে হবে।


এর পাশাপাশি, করোনাকালে দুর্গাপুজো নিয়ে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি থাকলেই পুজোর ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। কোনও পুজো ১০ বছর হলে, তাকেও অনুমতি দিতে হবে। পুজোয় সরকারি অনুদান নিয়ে পুলিশকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।


পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা থেকে এদিন করোনা নিয়ে ফের একবার মানুষকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘কারও মধ্যে অন্য অসুখ থাকলেও করোনায় বদলাচ্ছে। করোনা নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়িতে কারও করোনা হলেও, মাস্ক পরতে হবে।’


এদিনের সভা থেকেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে করোনায় মৃত চিকিৎসকের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় বহুক্ষেত্রে হাতির হানায় প্রাণ হারান অনেকে। সেক্ষেত্রে পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথাও জানান তিনি। বলেন, ‘হাতির আক্রমণে কেউ মারা গেলে, পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।’