নয়াদিল্লি: সংবিধান দিবসেই শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে ‘আক্রান্ত’ হলেন বিন্দু আম্মিনি নামের এক মহিলা। গত বছরও এই বিন্দু ও কনকদুর্গা শবরীমালায় প্রবেশ করেন ও অর্চনা করেন। আজ আবারও মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন বিন্দু। পথেই তাঁকে আটকানো নয়। আক্রান্ত হন তিনি। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
বিন্দুর সঙ্গে একদল মহিলা শবরীমালায় যাচ্ছিলেন পুজো দিতে।
অভিযোগ, মন্দিরে পৌঁছানোর পথেই বিন্দুকে রোখার চেষ্টা করে এক কট্টর হিন্দু সংগঠন। তারা ওই মহিলার চোখে লঙ্কার গুঁড়ো স্প্রে করে দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনেই ঘটে এই ঘটনা। সূত্রের খবর, শ্রীনাথ পদ্মনাভন নামে এক ব্যক্তি এই ঘটনা ঘটান। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিন্দু এখন স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিতসাধীন।

গত বছর সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর শবরীমালার দরজা আইনিভাবে খুলে গিয়েছে সব বয়সের মহিলাদের জন্য। সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়সেও মন্দিরে প্রবেশ করার ব্যাপারে এখন আর আইনি নিষেধ নেই। কিন্তু বারংবার মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশ করায় বাধাদানের খবর আসছেই।
লিঙ্গ সাম্য অধিকার আন্দোলনের কর্মী ত্রুপ্তি দেশাইয়ের নেতৃত্বে একটি দল আজ মন্দিরে যাচ্ছিল। তাদের সঙ্গেই ছিলেন বিন্দু।
শবরীমালার আরাধ্য দেবতা আয়াপ্পার ভক্তরা সেই সময় পুলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ত্রুপ্তি ও তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে আপত্তির কথা জানায় তারা।
কোচি পৌঁছেই ত্রুপ্তির নেতৃত্বে মহিলারা আয়াপ্পাকে পুজো দিতে মন্দিরের দিকে এগোতে শুরু করেন। কিন্তু বিমানবন্দরে নামার পরই তাঁদের পুলিশ কমিশনারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

সূত্রের খবর, আজ সংবিধান দিবস বলেই মন্দিরে প্রবেশ করতে চান বিন্দুরা। কিন্তু তার আগেই এই বিপত্তি।
"মন্দিরে দেব দর্শন করে তবেই কেরল থেকে যাব।", অনড় বিন্দু।
এর আগেও গত অক্টোবর মাসে ফতিমা নামে এক মহিলা শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে ভক্তদের বাধা পেয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন।
গত নভেম্বরেও পুণের এক মহিলাও মন্দিরে ঢুকতে ব্যর্থ হয়।
সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দিলেও বেশ কিছু হিন্দু সংগঠন ও শবরীমালা অ্যাকশন কাউন্সিল মন্দিরে ১০ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদের প্রবেশের বিরোধিতা করে আসছে। সম্প্রতি কেরল সরকারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শবরীমালায় প্রবেশে ইচ্ছুক মহিলাদের আর আলাদা করে পুলিশি প্রহরা দেওয়া হবে না।