শেগাঁও থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘২০১৮ সালের আগস্টে ওই মহিলার বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে এক স্বঘোষিত গডম্যান পরামর্শ দেন, তাঁকে উপবাসে রাখলে এবং কিছু ধর্মীয় আচার-আচরণ মেনে চললে গুপ্তধন পাওয়া যাবে। সে কথা শুনে বিয়ের প্রথম দিন থেকেই ওই মহিলার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ৫০ দিন ধরে তাঁকে খুব সামান্য খাবার দেওয়া হয়। এই সময় রোজ রাত ২.৪৫ মিনিট থেকে ভোর পর্যন্ত তাঁকে পুজো করতে বাধ্য করা হয়। পুজোয় কোনও ভুল হলেই তাঁকে মারধর করা হত। তিনি যাতে বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারেন সেটা নিশ্চিত করার জন্য মোবাইল ফোন কেড়ে নেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দীর্ঘদিন কোনও খবর না পেয়ে একদিন ওই মহিলার শ্বশুরবাড়িতে যান তাঁর বাবা। তিনি মেয়ের দুর্দশা দেখে তাঁকে নিয়ে চলে যান। বাপের বাড়িতে গিয়ে ওই মহিলা গোটা ঘটনা জানান।’
মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। বুধবার তাঁর স্বামী ও অভিযুক্ত গডম্যানকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।