নয়াদিল্লি: সবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানালেন মহিলা সমাজকর্মীরা। একইসঙ্গে বাস্তবে মানুষ এই রায়কে কতটা গ্রহণ করবে সেই নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তাঁরা।
অল ইন্ডিয়া প্রোগ্রেসিভ উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব তথা সমাজকর্মী কবিতা কৃষ্ণণ জানান, এই সিদ্ধান্ত অনেকদিন ধরেই পাওনা ছিল। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক তিন তালাক, হাজি আলি ও সবরীমালা-- প্রতিক্ষেত্রে আদালত সঠিকভাবেই জানিয়েছে যে, মহিলাদের সমানাধিকার ধর্মীয় আচারের দ্বারা বেঁধে রাখা যাবে না। মন্দিরে প্রবেশ নিয়ে জাতপাতের বিভাজন যেমন অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক, ঠিক তেমনই লিঙ্গ-বৈষম্যও অনুচিত। কৃষ্ণণ যোগ করেন, তাঁর আশা সবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ ও কেরল সরকার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে সম্মান করবে।
অল ইন্ডিয়া ডেমোক্র্যাটিক উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন মারিয়ম ধাওয়ালে এদিনের রায়কে মহিলাদের সমানাধিকারের প্রতি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন। বলেন, আমরা রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। মহিলাদের একটি সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। নিজেদের খুশিমতো যে কোনও মন্দির বা দরগায় প্রবেশ করতে দেওয়া উচিত মহিলাদের।
আরেক সমাজকর্মী ছবি মেথি অবশ্য রায় কার্যকর হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। বলেন, সন্দিহান যে মন্দির কর্তৃপক্ষ এই রায়কে কতটা মেনে নেবে। ফলে, আখেরে এই সিদ্ধান্তের কার্যকর হওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মহিলাদের নিজের ইচ্ছেমতো জায়গায় যাওয়ার অনুমতি থাকা উচিত। একইভাবে, দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মাল্লিওয়াল বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করি। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সকলে মেনে চলতে বাধ্য।