শাহিনবাগের অনুপ্রেরণায় প্রতিবাদ মহারাষ্ট্রের মদনপুরাতেও, 'দেশকে ভালবাসলে সরকারকেও ভালবাসতে হবে, এমন কোনও কথা নেই', বলছেন আন্দোলনকারীরা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 27 Jan 2020 01:01 PM (IST)
সকলের মুখেই স্লোগান ‘উই অল আর ওয়ান’। ‘আজাদি’র স্লোগানে গলা মেলাচ্ছেন ২০ থেকে ৮০। সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিনে ব্যস্ত অঞ্চল মদনপুরার ছবিটা এমনটাই।
মুম্বই: শাহিনবাগ বা কলকাতার পার্কসার্কাস দেখিয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের ভাষা। এক টুকরো শাহিনবাগই যেন এখন মহারাষ্ট্রের মদনপুরা। ছোট্ট একটা প্রতিবাদ-জমায়েত অল্প সময়েই আকর্ষিত করেছে শয়ে-শয়ে মানুষকে। জড়ো হয়েছেন সাধারণ গৃহবধূ থেকে আইনের ছাত্রীরা। সকলের মুখেই স্লোগান ‘উই অল আর ওয়ান’। ‘আজাদি’র স্লোগানে গলা মেলাচ্ছেন ২০ থেকে ৮০। সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিনে ব্যস্ত অঞ্চল মদনপুরার ছবিটা এমনটাই। পুলিশও যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে সরানোর। কিন্তু শাহিনবাগের মতোই কণ্ঠ ছেড়েছে মদনপুরা। প্রতিবাদের আঙিনা থেকে না সরে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছে তারা। ‘দেশকে নিশ্চয়ই ভালবাসা উচিত। তাবলে দেশের সরকারকেও ভালবাসতে হবে, এমন কোনও কথা নেই’- সাফ কথা এক আইনের ছাত্রীর। ‘ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্র শেখর আজাদ যেখানেই যাচ্ছেন, প্রতিবাদ করছেন, আটক হচ্ছেন। আমরা তাঁর জন্য লড়ছি। লড়াই চালাচ্ছি শাহিনবাগের মহিলাদের জন্য।’, জানালেন ফতিমা নামের ওই ছাত্রী। এক আন্দোলনকারীর দাবি, সংবিধানে কোথাও বলা নেই, জাত-ধর্মের উপর ভিত্তি করে আইন আনা যাবে। এক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে। শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের থেকে অনুপ্রেরণায় প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। শেষ ৭০ বছরে কখনও এভাবে শিশু কোলে নিয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় রাতের পর রাত জাগেনি মানুষ। সরকারের ভাবা দরকার, কী কারণে তাঁরা পথে নামতে বাধ্য হলেন? প্রশ্ন এক প্রতিবাদীর। আরেক প্রতিবাদীর বক্তব্য, ‘আমি যোগী, অমিত শাহকে জিগ্যেস করতে চাই, আমরা কি দেশদ্রোহী?’