ভারতের সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা পালনে তাঁর এহেন আপত্তির জবাবে রবিশঙ্কর আজ সরাসরি বলেছেন, মেহবুবা ‘রাজ্য়ের পতাকা ফিরিয়ে আনবেন’ বলায় স্পষ্ট, তিনি জাতীয় পতাকা ‘সরাসরি প্রত্যাখ্যান’ করছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, গত বছর যথাযথ সাংবিধানিক পদ্ধতি পুরোপুরি পালন করেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয় এবং সংসদের উভয় কক্ষই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে তা অনুমোদন করে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
শুক্রবারই মেহবুবা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, গত বছরের ৫ আগস্টের সাংবিধানিক পরিবর্তন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তিনিও নির্বাচনে লড়ায় বা জাতীয় পতাকা তোলায় আগ্রহী নন।
মেহবুবা জাতীয় পতাকার প্রতি ‘চরম অসম্মান’ প্রদর্শন করলেও অন্য বিরোধী দলগুলি ‘পুরোপুরি মুখে কুলুপ এঁটেছে’, কিন্তু ‘একেবারে সামান্য ইস্যু’ হাতে পেলেও বিজেপির সমালোচনায় সরব হয় বলেও ক্ষোভ উগরে দেন রবিশঙ্কর। বলেন, এটা দ্বিচারিতা, দুমুখো আচরণ।
মেহবুবার পাশাপাশি আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাও সম্প্রতি গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ফারুক, মেহবুবা, সাজ্জাদ লোন সহ জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা একজোট হয়েছেন ৩৭০ ধারা ফেরানোর লক্ষ্য সামনে রেখে। ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন’ নামে মঞ্চ গড়ে তাদের প্রস্তাব, কাশ্মীর প্রশ্নের মীমাংসা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ আলোচনায় বসুক। আজকের ভারতের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারছি না বলে মন্তব্য করে মেহবুবা হুঙ্কার ছেড়েছেন, লক্ষ্যপূরণে যদি রক্ত দিতে হয়, তবে সবার আগে দেবে মেহবুবা!