নয়াদিল্লি: গত ৭০ বছরে সাধুসন্তদের নাম ভারতরত্নের জন্য কেন বিবেচিত হয়নি? এই প্রশ্ন তুললেন যোগগুরু রামদেব। ৭০-তম প্রজাতন্ত্র দিবসে তিনি বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে গত ৭০ বছর ধরে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হলেও, একজন সাধুকেও ভারতরত্ন দেওয়া হয়নি। মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী, স্বামী বিবেকানন্দ, শিবকুমার স্বামীদের দেশগঠনে অনেক অবদান আছে। কিন্তু তাঁদের অবদানকে কোনওদিন স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।’


এবার ভারতরত্ন খেতাব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। একইসঙ্গে মরণোত্তর ভারতরত্ন খেতাব দেওয়া হয়েছে ভারতীয় জনসংঘের প্রয়াত নেতা নানাজি দেশমুখ ও প্রয়াত বিখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকাকে। এর আগে ২০১৫ সালে শেষবার ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল। সেবার এই খেতাব পেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মদনমোহন মালব্য। চার বছর পর ফের ভারতরত্ন খেতাব প্রদান করা হল।

এবার সদ্যপ্রয়াত লিঙ্গায়ত ধর্মগুরু শিবকুমার স্বামীকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি উঠেছিল। তবে সেই দাবি মানেনি সরকার। এ বিষয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রামদেব। তিনি মাদার টেরেসাকে ভারতরত্ন দেওয়ার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘মাদার টেরেসা খ্রিস্টান ছিলেন বলেই তাঁকে এই খেতাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অন্য সাধু-সন্তরা হিন্দু বলেই তাঁদের ভারতরত্ন দেওয়া হয়নি। এদেশে হিন্দু হওয়া কি অপরাধ? দেশের প্রতি সব সাধু-সন্তরই অনেক অবদান আছে। তাঁদের অবশ্যই ভারতরত্ন দেওয়া উচিত।’