নয়াদিল্লি: অযোধ্যায় রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ চত্বর সংলগ্ন বিতর্কের বাইরে থাকা অধিগৃহীত জমির ওপর ৯টি প্রাচীন মন্দিরে পুজো-আচ্চা, ধর্মীয় কাজকর্ম চালানোর অনুমতি চেয়ে দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ আবেদনকারীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেছে, আপনারা কখনই দেশটাকে শান্তিতে থাকতে দেবেন না। সবসময় কিছু না কিছু একটা লেগেই আছে।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চের গত ১০ জানুয়ারির রায়ের বিরুদ্ধে পেশ হওয়া আবেদনের আজ শুনানি হয় বেঞ্চে। ওই আদেশে ৯টি মন্দিরে পুজো-প্রার্থনার অনুমতির আবেদন খারিজ করে আবেদনকারীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতেও বলা হয়। আজ আবেদনকারী পন্ডিত অমরনাথ মিশ্রকে এই ইস্যুতে ‘বারবার খোঁচাখুঁচি করা বন্ধ করতে’ বলে সর্বোচ্চ আদালত।
সমাজকর্মী বলে পরিচিত মিশ্র হাইকোর্টে বলেছিলেন, অযোধ্যায় বিতর্কিত নয়, এমন অধিগৃহীত জমির ওপর তৈরি প্রাচীন মন্দিরগুলিতে ধর্মীয় কাজকর্ম শুরুর ব্যাপারে গত ২৫ বছর ধরে মুখ ঘুরিয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালত সম্প্রতি প্রাক্তন শীর্ষ বিচারপতি এফএমঈআই কলিফুল্লার নেতৃত্বে মধ্যস্থতাকারীদের একটি প্যানেলকে নিয়োগ করে। জটিল জমি বিতর্কের গ্রহণযোগ্য সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। তাতে রাখা হয়েছে আধ্যাত্মিক গুরু, আর্ট অব লিভিং সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, সিনিয়র আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চুকেও।
ইলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০১০ সালের রায়ের বিরুদ্ধে ১৪টি আবেদন পেশ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। চারটি দায়রা মামলায় দেওয়া ওই রায়ে অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমি তিন পক্ষ- সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখাড়া ও রাম লালার মধ্যে সমান ভাগে বন্টনের কথা বলা হয়েছিল।