নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের কোভিড-১৯ কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ আরোগ্য সেতু হু হু করে ডাউনলোড করছে দেশের মানুষ। ১৪ এপ্রিল ভাষণেও আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ ডাউনলোড করেছেন এই অ্যাপ। পরিসংখ্যান বলছে নরেন্দ্র মোদির ভাষণের পরই আরও দ্রুত হারে সকলে এই অ্যাপ নামাতে শুরু করে। মিনিটে প্রায় ১ লাখ লোক অ্যাপ ডাউনলোড করতে থাকেন।
তুলনা টানলে অবাক হবেন, জনপ্রিয় অ্যাপ পোকেমন গো-ও ৫০ মিলিয়ন মানুষ ডাউনলোড করেছিল ১৯ দিনে। অর্থাৎ ৬ দিন কম সময়েই আরোগ্য সেতু সেই মাইলস্টোন পার করল।
২ এপ্রিল এই অ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ হয়। কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করতেই, এই অ্যাপ আনে কেন্দ্রীয় সরকার। নীতি আয়োগের ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অর্ণব কুমার জানালেন, তাঁরা আশা করেছিলেন ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডাউনলোড হবে, কিন্তু তার একদিন আগেই সেই লক্ষ্য ছোঁয়া গেল।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুধু মঙ্গলবারই ১১ মিলিয়ন মানুষ ওই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।
এই অ্যাপে ১১টি ভাষায় ইউজারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রত্যেকের পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে। কী কী করলে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায় ও চিকিৎসা বিষয়ক উপদেশ পাওয়া যাচ্ছে এই অ্যাপে।
কারও যদি করোনা-পজিটিভ হয়ে থাকে, কিংবা করোনা-ঝুঁকি খুব বেশি হয়ে থাকে, তাহলে সেই সংক্রান্তে তথ্য সার্ভারে আপলোড করা হয়, স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়। তারপরই কনট্যাক্ট চেনে থাকা সবাইকে এই ব্যাপারে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. কে বিজয় রাঘবন জানালেন, ধরা যাক একজন, A, ট্রেনে চড়ে কাজে গেলেন, আবার ফিরে এলেন বাড়িতে। তারপর তাঁর সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিল, পরীক্ষা করে দেখা গেল করোনা-পজিটিভ, তখন ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা বা আশেপাশে থাকা মানুষদের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছে যাবে। তাঁর মতে, অনেক সময়ই ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও উপসর্গ থাকে না। তার মারফত অন্য লোকও সংক্রমিত হয়। এভাবেই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
যদি সবাইকে কোয়ারেন্টিন করা হয়, তাহলে কিছু সন্দেহভাজনকে কোয়ারেন্টিন করতে পারা যাচ্ছে।
কোনও করোনা-পজিটিভ মানুষের সংস্পর্শে আসা সব মানুষকে সতর্ক করাই আরোগ্য সেতু অ্যাপের উদ্দেশ্যে, জানালেন ডা. বিজয়রাঘবন।
এই অ্যাপে ব্যক্তিগত তথ্য সবসময় গোপন রাখা হয়। কখনও কাউকে সংক্রমিতর পরিচয় জানানো হয় না।