চণ্ডীগড়: করোনাভাইরাস প্রকোপ নিয়ে ফের মুখ খুললেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ। এবার তাঁর দাবি, বিশেষজ্ঞরা তাঁকে বলেছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারা সেপ্টেম্বর মাসের আগে কমবে না। তাঁর আরও দাবি, এতদিন টানা লকডাউন বজায় রাখা সম্ভব নয়।


ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে অমরিন্দর বলেন, ৩ মে এই রেখাচিত্র স্থির হবে না। তা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। বিশেষজ্ঞরা আমাকে বলেছেন, এটা সেপ্টেম্বরে গিয়ে স্থির হবে। কিন্তু, ততদিন আমরা লকডাউন চালিয়ে যেতে পারব না। আবার লকডাউন শেষ হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে ভাইরাস ফের না ছড়িয়ে পড়ে।


মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি কেন্দ্রের থেকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল উন্নয়ন খাতে ৭২৯ কোটি টাকা। ভাইরোলজি গবেষণা কেন্দ্রের জন্য ৫৫০ কোটি। এছাড়া, জিএসটি বাবদ বকেয়া ৪,৪০০ কোটি টাকাও চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পেট্রোলের ভ্যাট থেকে শুরু করে শুল্ক, জিএসটি ও স্ট্যাম্প ডিউটি মিলিয়ে প্রতিদিন রাজ্যের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।


কয়েকদিন আগেই, অমরিন্দর দাবি করেছিলেন, পঞ্জাবের ৮৫ শতাংশ মানুষ সংক্রমিত হতে পারে করোনাভাইরাসে। ওই প্রেক্ষিতে তিনি পিজিআইএমআর-এর এক বিশেষজ্ঞের তৈরি করা একটি রিপোর্টকে হাতিয়ার করেছিলেন। যদিও, পিজিআইএমআর সেই দাবিকে খারিজ করে। অমরিন্দর বলেন, আশঙ্কা করা হয়েছিল হবে। তবে, লকডাউনের ফলে, এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। বর্তমান পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে, তা সন্তোষজনক বলেও তিনি মনে করেন।


গতকাল দেশের উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কিছু জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতে অমরিন্দর বলেন, ইতিমধ্যেই, জায়গার চিহ্নিতকরণ করতে শুরু করে দিয়েছে তাঁর প্রশাসন। তবে, যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হবে এবং নিশ্চিত করা হবে যাতে কারও স্বাস্থ্যজনিত ক্ষতি না হয়।


অমরিন্দর যোগ করেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলার খরচ তোলার জন্য কোনও সরকারি কর্মীর বেতনে কাটছাঁট করা হবে না। এছাড়া, তিনি জানিয়ে রাখেন, এখনও রাজ্যে মদের দোকান খোলা হবে না। পরবর্তীকালে, ধীরে সুস্থে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হবে। পাতিয়ালায় যে পুলিশকর্মীর হাত কেটেছিল নিহাঙ্গরা, তাঁকে সাহসিতকার পুরস্কার দেওয়া হবে।