মুম্বই: আশিকি-র মত সুপারহিট ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটেছিল তাঁর। তারপর খুব দ্রুত হারিয়ে গেলেন অনু আগরওয়াল। ২১ বছর আগের একটি দুর্ঘটনা তাঁর জীবন বদলে দেয় পুরোপুরি। সুস্থ হওয়ার চেষ্টায় তিনি শুরু করে যোগাসন ও নানা ধরনের থেরাপি। বলিউড ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বরাবরের মত। অনু জানালেন, বলিউডে পূর্বপরিচিত না থাকায় কীভাবে তাঁকে অচ্ছুৎ করে রাখা হয়েছিল।
অনু বলেছেন, তাঁর সব সময় মনে হত, তিনি একজন বাইরের লোক, বলিউডে এসে পড়েছেন। বিশেষ করে তাঁর ছবি হিট করার পর লোকের হিংসে আরও বেড়ে যায়, তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করে অনেকে। এমনকী ছবির সাফল্য উদযাপনের সুযোগটুকুও পাননি, সারাক্ষণ ভাবতে হত, কী করে লোকের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। খলনায়িকা বলে একটি ছবি করেন অনু। আশিকি-র তৃতীয় বছরে আসে ছবিটি। ছবিটি ভাল চলেছিল, স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন এসে তাঁকে প্রশ্ন করেন, ৩ বছরের মধ্যে আশিকি থেকে খলনায়িকা- কীভাবে করলে তুমি? এরপরেও তাঁকে পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হয়, নায়িকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্শ্বচরিত্রে।
অনু জানিয়েছেন, পুরস্কারের দৌড়ে নমিনেশন পেতেন তিনি। তারপর প্রশ্ন উঠত, এ কে, এর মা বাবা কারা, কে জানে, কোত্থেকে এসেছে। প্রধান চরিত্র বিভাগ থেকে সরিয়ে তাঁর নাম রাখা হত পার্শ্ব চরিত্র বিভাগে। অথচ তিনি তো পার্শ্বচরিত্র করেননি, নায়িকা ছিলেন। বাড়ি ফিরে গিয়ে সারা রাত কেঁদেছিলেন, কাউকে কিছু বলতে পারেননি। নিজের মনে হয়েছিল, আমি কে। আমায় কেউ মূল্য দেয় না কেন। এর কারণ কী, হিংসে?
বলিউডের এক বহিরাগত হিসেবে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে নিজের পরিস্থিতি মেলাতে পারেন তিনি , অনু বলেছেন। তাঁর পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ ছিল না, একজনই দাঁড়াতে চেয়েছিল কিন্তু বদলে সে এমন কিছু চায় যা তিনি দিতে পারেননি। খুব অল্প বয়সেই বুঝে গিয়েছিলেন, এখানে কারও কাছ থেকে কোনও সাহায্য চাওয়া চলবে না, তাহলেই তারা পাল্টা কিছু চাইবে।
তোমাকে একঘরে করে দেওয়া হয়, বহিরাগত হিসেবে আমি তোমার কষ্ট বুঝতে পারি, সুশান্তের উদ্দেশে বললেন আশিকি-র নায়িকা অনু আগরওয়াল
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
25 Jun 2020 09:13 AM (IST)
অনু জানিয়েছেন, পুরস্কারের দৌড়ে নমিনেশন পেতেন তিনি। তারপর প্রশ্ন উঠত, এ কে, এর মা বাবা কারা, কে জানে, কোত্থেকে এসেছে।
NEXT
PREV
খবর (news) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -