কলকাতা: মেঘলা সকালে আকস্মিক দুঃসংবাদ। মাত্র ৫৮ বছর বয়সে প্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে যখন দীর্ঘ খরা, তখন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালের সঙ্গে বাংলা ছবির হাল ধরেছিলেন অভিষেকও। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, অবাধ আর সাবলীল যাতায়াত ছিল তাঁর। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অভিনেতা। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টলিউড। আর, কার্যত বাক্যহারা টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়।


'ভালো থাকিস বন্ধু'


প্রিয় সহকর্মীর মৃত্যুতে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় উজাড় করে মনের কথা লিখছে টলিউড, তখন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি। শোক সামলাতে সময় গেলে গেল বেশ কয়েক ঘণ্টা। ট্যুইটারে বন্ধুর ছবি শেয়ার করে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখলেন, 'বিশ্বাস হচ্ছে না যে অভিষেক আর নেই। কি বলব, কি লিখব... at a loss for words. তোর বিকল্প হবে না কোনোদিন। ভালো থাকিস রে বন্ধু।' (অপরিবর্তিত)



আড্ডা মারতে ভালোবাসতেন মিঠুদা


'মিঠুদা'-র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও। ছোটবেলা থেকেই অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। শাশ্বত বলছেন, 'ভীষণ মজা করে জীবনটাকে বাঁচতে ভালোবাসতেন মিঠুদা। শ্যুটিং ফ্লোরে অনেক সময় ওনার কাছে আমায় রেখে চলে যেতেন বাবা। হয়তো বাবার প্যাক আপ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার বায়না রাতে শ্যুটিং দেখব। মিঠুদার দায়িত্বে আমায় রেখে ফিরে যেতেন বাবা। আড্ডা দিতে ভীষণ ভালোবাসতেন মিঠুদা। একটা দারুণ দল ছিল বন্ধুবান্ধবদের। সেখানে অনেকটা সময় কাটাতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য সেই দলটা ভেঙে যায়। যাই হোক, আমি অল্পবয়সে দেখা ওই হাসিমুখের মিঠুদাকেই মনে রাখতে চাই চিরকাল।' কথায় কথায় অভিনেতা জানালেন, নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবতেন না অভিষেক। খাদ্যরসিক ছিলেন। সবসময় বলতেন, 'আমার কিছু হবে না।' সহকর্মী, অগ্রজের চলে যাওয়ায় আজ মনখারাপ সবারই।