ওয়াশিংটন: কোভিড রুখতে কাজে আসবে সব্জি। তবে যে কোনও সব্জি নয়। ফুলকপি বা ব্রকোলি জাতীয় সব্জিতে এমন কিছু রাসায়নিকের যৌগের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যা কোভিড বা সাধারণ ফ্লু ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে। জানাচ্ছেন গবেষকরা।


কোন গবেষণায় হদিশ?
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (Johns Hopkins University) একদল গবেষক এই দাবি করেছেন।  তাঁদের দাবি সালফোরাফেন (sulforaphane) নামে একটি রাসায়নিক যা উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়, তার মধ্যে ক্যানসার প্রতিরোধী শক্তি রয়েছে। এই রাসায়নিক সার্স কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। কমন কোল্ড ভাইরাস বা সাধারণ ফ্লু-এর বিরুদ্ধেও এর কার্যকারিতা রয়েছে।


কোন কোন সব্জিতে হদিশ?
মূলত কপিজাতীয় সব্জিতে এই ধরনের রাসায়নিক যৌগ পাওয়া যায়। ব্রকোলি, বাঁধাকপি, কেল (kale)-এর মতো সব্জিতে এই ধরনের যৌগ মেলে।


তবে রয়েছে সতর্কতাও
নেচার জার্নালে এই গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে। সেখানে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে এখনই সাধারণ নাগরিকরা যেন ওই ধরনের সব্জি বা ওই রাসায়নিক যৌগ বেলাগাম ভাবে খেতে শুরু না করেন। শরীরে ওই রাসায়নিক যৌগের প্রভাব নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। কোন পরিস্থিতিতে কতটা পরিমাণ প্রয়োজন, তার জন্য দীর্ঘ গবেষণা প্রয়োজন।


কীভাবে গবেষণা?
এই গবেষণায় পিউরিফায়েড কৃত্রিম সালফোরাফেন (purified synthetic sulforaphane) ব্যবহার করা হয়েছে। যা নির্দিষ্ট দোকান থেকে কেনা হয়েছে। কোষে সার্স কোভিড ভাইরাস এবং ফ্লু ভাইরাস ঢোকানোর আগে ওই রাসায়নিক যৌগের সংস্পর্শে আনা হয়েছিল। তারপরে দেখা যায় নির্দিষ্ট পরিমাণে সালফোরাফেনের উপস্থিতিতে সংখ্যায় বাড়তে পারছে না কোভিড ভাইরাস। কোভিডের একাধিক স্ট্রেনের ক্ষেত্রেই এমনটা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সালফোরাফেনের সঙ্গে রেমডিসিভির মিশিয়েও একই ফল মিলেছে। 


গবেষক অ্যালভারো অর্ডোনেজ (Alvaro Ordonez) বলেন, 'আমরা দেখেছি যে সালফোরাফেন সার্স কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে এই যৌগকে এইসব সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর বিষয়ে ভাবা যায়।'


একই ভাবে ইঁদুরের উপরেও এই যৌগ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে ওই গবেষক দল। বিজ্ঞানীদের দাবি, ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ভাইরাসের সংক্রমণে আসা যে ইঁদুরগুলিকে সালফোরাফেন দেওয়া হয়েছে তাদের ভাইরাল লোডও অনেকটাই কমেছে। ফুসফুসে এবং শ্বাসযন্ত্রে ভাইরাসের উপস্থিতিও অনেকটা কমেছে। গবেকদের দাবি, এই রাসায়নিক যৌগ ফুসফুসের প্রদাহও অনেকটা কমাতে সক্ষম। মূলত যার কারণেই অনেক কোভিড আক্রান্ত মারা যান।  


আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকে বাঁচাতে পারে CPR