হায়দরাবাদ: লকডাউন। টানা ২১ দিন। ২৪ মার্চ রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই রাতারাতি বদলে যায় সারা দেশের ছবিটা।
রাস্তাঘাট শুনশান। বন্ধ অধিকাংশ দোকান। চলছে না যানবাহন। ধর্মীয়স্থানগুলির গেটে তালা। থেমে যাওয়া শহরের মাঝেই আটকে কিছু মানুষ ঘর থেকে অনেক দূরে।
কেউ কাজে গিয়ে, কেউ বা বাইরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েছেন অন্য রাজ্যে। তাঁর মধ্যে রয়েছেন এবিপি আনন্দ-র সাংবাদিক গোপাল চট্টোপাধ্যায়। চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েছেন হায়দরাবাদে। সেই অবস্থাতেই তুলে ধরেছেন ভোগান্তির ছবি।
কলকাতা থেকে ১ হাজার ৫০৫ কিলোমিটার দূরের শহরটার ছবি এখন একেবারেই আলাদা। গোপাল চট্টোপাধ্যায় হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন চোখের চিকিৎসার জন্য। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতাল। আপাতত হোটেলের ঘরে বন্দি তিনি।
১৭ তারিখে তাঁর চোখের অপারেশন হয়। ২৫ তারিখে ছিল চেকআপ। কিন্তু তিনি ফিরতে পারলেন না বাড়ি, হল না চেকআপও।
আমাদের প্রতিনিধি জানালেন, তাঁর মতো ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছেন আরও বহু বাঙালি পরিবার।
আটকে পড়া অনেকেরই শেষ হয়ে আসছে টাকা। বিদেশ-বিভুঁইয়ে চরম সঙ্কটে তাঁরা।
এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি গোপাল চট্টোপাধ্যায় জানালেন, শহরে কাঁচা সবজির দাম আকাশছোঁয়া। বড় বড় শপিং মলে সবজির উপর থেকে দামের স্টিকার তুলে ফেলা হয়েছে। প্রত্যেকদিন নতুন নতুন দাম হাতে লিখে দেওয়া হচ্ছে সেলস কাউন্টারের কর্মীদের কাছে। তিন থেকে চার গুণ বেশি দামে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।
গরিব মানুষদের কথা ভেবে অন্নপূর্ণা যোজনা চালু করেছে সরকার। ৫ টাকায় বিশেষ থালি মিলছে। তাতে পাওয়া যায় ভাত-ডাল-সব্জি-আচার, আর জলের পাউচ। রাস্তার ধারে ছোট ছোট কাউন্টার করে দেওয়া হয় খাবার। বর্তমান অবস্থায় বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।