মুম্বই: ভবিষ্যতের ভারত নিয়ে নতুন ভাবনা। একমঞ্চে দেশের সেরা ব্যক্তিত্বরা। ২ দিনের এবিপি নেটওয়ার্কের আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া নামাঙ্কিত এই অনুষ্ঠানের শুরুতে আজ ছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী কৈলাস সত্যার্থী। এদিনের এই অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন যে, আগামী ২৫ বছরে ভারতে পরিবর্তন আনার জন্য শিশুদের উন্নতমানের শিক্ষা প্রদানের মধ্যে তা হতে পারে।


শিক্ষার উন্নতিতেই ভারতের আগামী ২৫ বছরে দেশের উন্নতি হতে পারে। এদিনের এবিপি নেটওয়ার্কের আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়ার অনুষ্ঠান থেকে কৈলাস সত্যার্থী বলেন, সব শিশুকে স্কুলে পেতে হবে আধুনিকতম শিক্ষা। ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন সত্যার্থী। দেশের জনগণকে সেই পুরস্কার উৎসর্গ করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, সেই একই বছরেই পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাইও নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। 


এদিনের এই অনুষ্ঠান থেকে নোবেলজয়ী বলেন,  "ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই ১৮ বছরের কম বয়সি। তাই আমাদের দেশের ভবিষ্যত কোথায় যাবে তার অনেকটাই নির্ভর করবে এঁদের ওপর। শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর প্রচেষ্টাই অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। আজ যদি সমাজে কোনও পিছিয়ে পড়া কিশোরীর মুখে হাসি আনা যায়, তাহলে আগামী দিনে তাঁর জীবনে কতটা পরিবর্তন আসে তা দেখতে পাওয়া যাবে।" 


 



পাশাপাশি নোবেলজয়ী এও বলেন যে শিশুপাচারের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সামাজিক সচেতনতাও গড়ে তোলা উচিত। দেশে শিশুদের কল্যাণে অনেক আইন ও সরকারি প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু তা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রায় ৮৬ হাজার শিশুকে তাঁর কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুশ্রম, দাসত্ব এবং পাচার থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি এও বলেন, কিছু ঘটনা তাঁকে হতাশ করলেও তিনি হাল ছাড়েননি। অনুপ্রেরণায় ভর করেই এগিয়ে চলেছেন তিনি। 


এবিপি নেটওয়ার্কের ভবিষ্যতের ভারত নিয়ে ভাবনার এই অনুষ্ঠান থেকেই বিশ্ববাসীর জন্য কৈলাস সত্যার্থী বলেন, "আমি চাই শিশুদের চোখ দিয়ে এই পৃথিবীকে দেখতে। তাহলে এই পৃথিবী বসবাসের জন্য কতটা সুন্দর তা বোঝা যায়। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে যদি শিশুদের সেই নিষ্পাপ ভাবনা থাকে তাহলে এর থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না। আমার কাছে পাকিস্তান, আমেরিকা, আফ্রিকা কিংবা ভারত সব দেশের শিশুরাই সমান।"