চেন্নাই: তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে (Chennai) শুরু হল এবিপি নেটওয়ার্ক (ABP Network) আয়োজিত প্রথম দি সাদার্ন রাইজিং সামিট (The Southern Rising Summit)। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির উন্নতি, মেধা, সামাজিক সম্প্রীতি এবং  সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতাতে উদযাপন এবং সম্মান জানানোর লক্ষ্যেই এই সামিট। ১২ অক্টোবর চেন্নাইয়ে তাজ করমন্ডলে আয়োজিত হচ্ছে এই সামিট। abplive.com, abpnadu.com এবং abpdesam.com - এ সরাসরি দেখা যাচ্ছে এই অনুষ্ঠানটি।


অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দিয়েছেন এবিপি নেটওয়ার্কের সিইও অবিনাশ পাণ্ডে (Avinash Pandey)। তিনি বলেন, 'দক্ষিণ ভারত খাঁটি সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক উন্নতির জায়গা।' তিনি আরও বলেন, 'চারটি শক্তিশালী সংস্কৃতির ভিত্তিতে তৈরি দক্ষিণ ভারত। কানাড়া, মালয়ামল, তামিল, তেলুগু। এরই সঙ্গে কোঙ্কনী, মরাঠী, ওড়িয়া, তুলু সংস্কৃতিও জড়িয়ে রয়েছে এখানে।' দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রশাসনিক এবং জনমুখী নানা প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন এবিপি নেটওয়ার্কের সিইও অবিনাশ পান্ডে। তিনি আরও বলেন যে, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জিডিপির অধিকারী দক্ষিণের রাজ্যগুলি। জনসংখ্য়ার বৃদ্ধির হারও সবচেয়ে কম দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেই। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং রোজগারের সুযোগের দিক থেকে বিচার করলে দক্ষিণের রাজ্যগুলির সঙ্গে উত্তরের রাজ্য়গুলির বড়সড় পার্থক্য চোখে পড়ে বলে মন্তব্য় তাঁর। তাঁর মতে, 'দক্ষিণ ভারতের গল্প আদতে হিউম্যান স্পিরিটের গল্প।' সামিটে যোগ দেওয়া সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানান এবিপি নেটওয়ার্কের সিইও অবিনাশ পাণ্ডে। 


এই সামিটে সমাজের একাধিক গণমান্য ব্যক্তি তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরবেন। অতিথি বক্তাদের তালিকায় রয়েছেন, তেলঙ্গানার রাজ্য়পাল ড. তামিলিসাই সৌন্দরাজন, তামিলনাড়ু মন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী,অভিনেতা-প্রযোজক রানা দগ্গুবাটি, অভিনেত্রী-পরিচালক রেবতী, সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস-সহ একাধিক স্বনামধন্য ব্যক্তি।


এদিনের সামিটে আয়োজন ছিল সঙ্গীত অনুষ্ঠানেরও। সুরকার মহেশ রাঘব এবং শিল্পী নন্দিনী শঙ্কর একসঙ্গে অনুষ্ঠানে মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের। অনুষ্ঠানের সময় নিজের শৈশবের কথাও বলেন মহেশ রাঘব। এদিনই বক্তব্য রেখেছেন দক্ষিণের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেতা, বাহুবলী খ্যাত রানা দগ্গুবাটি। নিজের স্কুল জীবনের কথা তুলে ধরেন তিনি। AI প্রযুক্তি ব্যবহার কথাও তাঁর বক্তব্য়ে তুলে ধরেন তিনি। তাঁর বক্তব্য়ে উঠে এসেছে সিনেমা শিল্প এবং ওটিটি-র কথাও।


এদিনই বক্তব্য রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী। তাঁর মতে, মহাত্মা গাঁধী সবসময় পরিবর্তনের জন্য উন্মুক্ত ছিলেন। তাঁর বক্তব্যে ঘুরেফিরে উঠে এসেছে মহাত্মা গাঁধী প্রসঙ্গ।


আরও পড়ুন:'পার্বতী কুণ্ড'-এর দর্শন, আদি কৈলাস শিখরে মেডিটেশন...একনজরে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাখণ্ড সফর