নিউ দিল্লি : করোনা মোকাবিলায় প্রশ্নের মুখে মোদি সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ এপর্যন্ত সবথেকে বড় সাফল্য মোদি সরকারের। কিন্তু, ঠিকমতো করোনা সংকটের মোকাবিলা করতে না পারা এই সরকারের সবথেকে বড় ব্যর্থতা। C Voter-এর মোদি ২.০ রিপোর্ট কার্ডে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। 


এনিয়ে গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সমীক্ষা চালানো হয়। ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ১.৩৯ লক্ষ লোকের মতামত নেওয়া হয়। সার্ভেতে উঠে এসেছে, বিভিন্ন ইস্যুতে ভোটাররা মোদি সরকারের উপর হতাশ। গত সাত বছর ধরে মোদি সরকার যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তা এবার একপ্রকার উধাও হতে বসেছে।


সার্ভেতে ৪৭.৪ শতাংশ লোক বলেছেন, মোদি ২.০-র সবথেকে বড় সাফল্য ৩৭০ ধারা রদ। এছাড়া ৪১.১ শতাংশ লোক বলেছেন, করোনা সংকটের মোকাবিলা এই সরকারের সবথেকে বড় ব্যর্থতা।


এই সার্ভে বলছে, মোদি সরকারের দ্বিতীয় বড় ব্যর্থতা নতুন কৃষি আইন। কৃষক সম্প্রদায়ের ২৩.১ শতাংশ মানুষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। অর্ধেকের বেশি বা ৫২.৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় তাঁদের কাছে সরকারের সাহায্য পৌঁছায়নি। 


এছাড়া অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভোটপ্রচার নিয়েও ভোটাররা অখুশি। প্রশ্ন ছিল, আপনারা কি মনে করেন যে দেশে দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ভোটপ্রচারে যোগ দেওয়া এবং বক্তব্য রাখা ঠিক ছিল ? এর উত্তরে ৫৯.৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে, মোদির ভোটপ্রচারে যোগ দেওয়া ভুল ছিল।   


তবে এই সরকারের প্রতি ক্ষোভ থাকলেও, ভোটররা এখনও রাহুল গাঁধীকে চান না। ভোটারদের কাছে প্রশ্ন ছিল, আপনারা কি মনে করেন, যদি রাহুল গাঁধী দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতেন তাহলে উনি করোনা পরিস্থিতির আরও ভাল মোকাবিলা করতে পারতেন ? নাকি নরেন্দ্র মোদিই এটা সম্ভাব্য সবথেকে ভালভাবে মোকাবিলা করছেন ? এর উত্তরে ৬৩.১ শতাংশ লোক বলেছেন, মোদি সম্ভাব্য সবথেকে ভালভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন। 


প্রায় ৬০.৮ শতাংশ ভোটার মতপ্রকাশ করেছেন, ৫ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচন এবং উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত নির্বাচন স্থগিত রাখা উচিত ছিল।