কলকাতা: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক। 


উডল্যান্ডস হাসপাতাল সূত্রে খবর,  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কাশি নেই। রক্তচাপ, অক্সিজেনের মাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।  তাঁর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। 


গতকাল সন্ধ্যায় শর্করার মাত্রা ওঠানামা করায় শারীরিক অস্থিরতা দেখা দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন চিকিৎসকরা। গতকালই তাঁর রেমডিসিভিরের কোর্স সম্পূর্ণ হয়েছে। 


গত ১৮ তারিখ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কোভিড পজিটিভ হন। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


জানা যায়, সোমবার রাত থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট। মঙ্গলবার সকালে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৮০-৮২ হয়ে যায়।  এরপরই তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে উডল্যান্ডস্ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


হাসপাতালর তরফে বুধবার জানানো হয়েছিল, দুটি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে রেমডেসিভির দেওয়া শুরু হয়। 


পাশাপাশি, প্রয়োজন হলে টকিলিজুমাব দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু, রেমডেসিভিরে কাজ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত টকিলিজুমাব দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। 


চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় সাড়া দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হতে শুরু করে। চিকিত্‍সকদের সঙ্গে কথা বলেন। নিজের হাতে স্বাভাবিক খাবার খান। 


বাইপ্যাপ দিয়ে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা হয়। এছাড়া, স্যালাইনের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড দেওয়া হয়।


করোনা আক্রান্ত হয়ে আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। সোমবারই ফিরেছিলেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু, মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার খানিকক্ষণের মধ্যে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।তাঁকে ফের উডল্যান্ডস-এই ভর্তি করা হয়। 


কয়েকমাস আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। সেই সময়ও তাঁর কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু সেই সময়ে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।


কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেই সময় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বেশ কয়েকদিন। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।