কলকাতা:  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গতকালকের সাক্ষাৎ ঘিরে ওঠা বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট করে জানালেন, তাঁকে একতরফা ভাবে অসম্মান করা হয়েছে। 


এদিন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, সংবাদমাধ্যমকে ওই সাক্ষাৎ সম্পর্কে অসত্য তথ্য দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর। 


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কর্মসূচি ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীর সফরের কথা ঘোষিত হয়। ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কর্মসূচি কাটছাঁট করতে হয়। 


মমতা বলেন, ‘এটিসি থেকে জানানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার নামবে। আমাদের হেলিকপ্টার প্রায় ২০ মিনিট আকাশে চক্কর কাটে।  প্রায় ১৫ মিনিট পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১ মিনিটের জন্য দেখা করতে চাই।’


মমতা যোগ করেন, ’দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর এসপিজি জবাব দেয়, একঘণ্টা পর বলুন, এখন কিছু হবে না। তারপর দীর্ঘক্ষণ আমাদের অপেক্ষা করতে হয়।’


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হবে। পরে দেখা গেল রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা সবাই আছেন। দেখা গেল বিজেপির সবাই রয়েছে, আমি একা।’


মমতা বলেন, ‘আমি মুখ্যসচিবকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষতির খতিয়ান তুলে দিই। আবহাওয়া খারাপ থাকায় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে বেরিয়ে আসি।’


মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘তাহলে আমার দোষ কোথায়?’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংসদে কেন বিরোধীদের বলতে দেন না? ২ সপ্তাহ আগে গুজরাতে কেন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বিরোধী নেতা ছিলেন না? অথচ ওড়িশার দুর্যোগ বৈঠকে কেন ছিলেন বিরোধী দলনেতা?’


মমতা যোগ করেন, ‘৩ বার প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে আমি দিঘায় যাই। গতকাল পরিকল্পনা করে কয়েকটা ফাঁকা চেয়ার রাখা হয়, যাতে আমি না বসি।’ 


মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘যাঁরা বৈঠকে আসার কথা নয়, তাঁরা কেন ছিলেন? প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগেও ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। প্রত্যেক বৈঠকে হাজির থেকেছি।’


মমতা বলেন, ‘বাংলার মানুষের রায় মেনে নিন, অপমান করবেন না। আমাকে একতরফা ভাবে অসম্মান করা হয়েছে।’