নাগরিকত্ব আইনের বিরোধ রাজনৈতিক কারণে, যে জেগে, তাকে জাগানো মুশকিল, এবিপি আনন্দকে বললেন অমিত শাহ
ABP Ananda, Web Desk | 03 Jan 2020 10:11 AM (IST)
জনগণনা ও এনপিআরে কোনও নথিপত্র চাওয়া হবে না, এই দুই প্রকল্পের সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই। এনপিআরের মাধ্যমে কাউকে টার্গেটও করা হবে না।
নয়াদিল্লি: ২০১৯ ভাল কেটেছে। ৩০৩টি আসন জিতিয়ে ক্ষমতায় ফেরত এনেছেন মানুষ। ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গের দুই তৃতীয়াংশ আসন বিজেপিই জিতবে, বাংলায় পদ্মের সরকার গড়া নিশ্চিত। নতুন বছরের শুরুতে এবিপি আনন্দকে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের স্পষ্ট করে বলেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কারও নাগরিকত্ব হরণের জন্য নয়, এই আইন শুধু নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে। সিএএ নিয়ে যা বিতর্ক উঠেছে তা সবই মিথ্যে প্রচারের জের বলে তাঁর দাবি। সিএএ ও এনআরসিকে এক সঙ্গে দেখানো হচ্ছে, অথচ দুটো বিষয় পুরোপুরি আলাদা। তিনি আরও বলেছেন, সিএএ কোনওভাবেই সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে না, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে না এই আইনে। শরণার্থীরা আমাদের ভাই, তাঁদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে। বঞ্চিত মুসলমানদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এনআরসির ওপর এখনও আলোচনা হয়নি, যখন আনা হবে, তখন আলোচনা শুরু হবে। পাশাপাশি রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ভঢরার দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শাহ বলেছেন, তাঁরা নাগরিকত্ব আইনের একটি ধারার কথা বলুন, যাতে নাগরিকত্ব যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। মানুষকে ধোঁকা দিতে সিএএ ও এনআরসিকে এক সঙ্গে জুড়ে দেখানোর চেষ্টা চলছে। তাঁর প্রশ্ন, যে সব রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার, সেগুলিতে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ কেন ছড়াল না। মানুষ বুঝতে পারছেন, এই সব ঘটনার পিছনে আসলে কাদের হাত রয়েছে। জনগণনা ও এনপিআর নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেছেন, ১০ বছর অন্তর জনগণনা হয়। ২০১১-য় শেষবার হয়েছে, আবার হবে ২০২১-এ। জনগণনা ও এনপিআরে কোনও নথিপত্র চাওয়া হবে না, এই দুই প্রকল্পের সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই। এনপিআরের মাধ্যমে কাউকে টার্গেটও করা হবে না। এনআরসি-সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকে রাজনৈতিক বিক্ষোভ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের ফল একটু চিন্তায় রেখেছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের। শাহ বলেছেন, ওই ভোটের ফল আত্মবিশ্লেষণ দাবি করে। হরিয়ানায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও সরকার গড়েছে বিজেপি। তাঁর বক্তব্য, হরিয়ানার জনাদেশ বিজেপির বিরুদ্ধে যায়নি, তারাই সেখানে সব থেকে বড় দল। তারা সরকার না গড়লে কম আসন পাওয়া দল হয়তো ক্ষমতায় চলে আসত। কাশ্মীরে গৃহবন্দি তিন নেতানেত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে কবে ছাড়া হবে তা স্পষ্ট করে জানাননি শাহ। বলেছেন, সে ব্যাপারে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। কিছুদিনের জন্য তাঁদের গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে তারণ ওঁরা এমন কিছু বক্তব্য রেখেছেন যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ৩০৭ ধারা তুলে নিলে কাশ্মীরে আগুন লেগে যাবে, পাকিস্তানের সুবিধে হবে- এ ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন তাঁরা। এ জন্য ওঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারির আগেই রাম মন্দির ট্রাস্টের ঘোষণা হবে বলে অমিত শাহ জানিয়েছেন। ট্রাস্টই তৈরি করবে কেমন হবে রাম মন্দির।