কলকাতা: অ্যাকাডেমিক র্যাঙ্কিং ২০২০-তে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষে। বিশ্ববিদ্যালয়-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩ নম্বরে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালেয়র মুকুটে নয়া পালক।'নিঃসন্দেহে গর্বের মুহূর্ত', প্রতিক্রিয়া উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। টুইটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র, গবেষক-সহ সকলকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমীক্ষক সংস্থা Academic Ranking of World Universities। গোটা বিশ্বে উচ্চশিক্ষাগুলিকেই নিজেদের সমীক্ষার আওতায় আনে এই সংস্থা। তাদের প্রকাশিত ক্রমতালিকাটি 'সাংহাই র্যাঙ্কিং' নামে পরিচিত। সেই তালিকায় এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছনে ফেলে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ছিনিয়ে নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় । স্পষ্টতই, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাফল্যে খুশি ছাত্র থেকে শিক্ষক সকলেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মুহূর্ত নিঃসন্দেহে যথেষ্ট গর্বের। তবে এই তালিকায় প্রথম দশে নাম নেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের।
এদিন এই খবর সামনে আসেতই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি মেধা এবং বিচারে ভারতের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। সাংহাই র্যাঙ্কিং' বা অ্যাকাডেমিক র্যাঙ্কিং অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ২০২০-র নিরিখে এই স্থান পেয়েছে। দেশের সব উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিচারে তৃতীয় স্থানে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এটা পশ্চিমবঙ্গে জন্য অত্য়ন্ত গর্বের বিষয়। আমি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি শিক্ষক, গবেষক, ছাত্র সহ যারা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত সবাইকে। তাঁদের অবদান এবং অসাধারণ কাজের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।
অন্যদিকে প্রথম দশে নাম রয়েছে দেশের আরও বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই প্রথমবার ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম রয়েছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের। দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স। দ্বিতীয় আইআইটি মাদ্রাস, ইউনিভার্সিটি অব দিল্লি চতুর্থ স্থানে। আইআইটি দিল্লি পঞ্চম স্থানে। দেশের প্রথম দশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আছে এরাজ্যের আইআইটি খড়গপুর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র্যাঙ্কি ষষ্ঠ। সপ্তম স্থানে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় অষ্টম স্থানে। ভেলোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির স্থান নবম। দশম স্থানে এইমস।