কলকাতা: তাপস পালের মত ভার্সেটাইল অভিনেতা খুব বেশি দেখেনি টলিউড। বড় অসময়ে চলে গেলেন তিনি। তাপসের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন টালিগঞ্জে তাঁর সহ শিল্পীরা।


দাদার কীর্তি-র তাপস অনবদ্য। ওই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেও করার সাহস দেখাবেন না। দীর্ঘদিনের সহ অভিনেতার প্রয়াণের পর চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর স্বীকারোক্তি। প্রায় একই সঙ্গে ছবির দুনিয়া থেকে রাজনীতিতে পা রাখা চিরঞ্জিৎ বলেছেন, তাপস তাঁর ভাইয়ের মত ছিলেন। তাঁর শেষ জীবনটা অত্যন্ত খারাপ গেল, এত উজ্জ্বল ছেলের এই পরিণতি মেনে নেওয়া যায় না।

দাদার কীর্তি যেমন বাংলা ছবিকে তাপসকে দিয়েছিল, তেমনই দিয়েছিল দেবশ্রীকে। তারপর ভালবাসা ভালবাসা, গুরুদক্ষিণা-র মত অসংখ্য সুপার ডুপারহিট ছবি তাঁরা করেছেন। এতদিনের সহশিল্পীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন দেবশ্রী। জানালেন, কথা বলার অবস্থায় নেই।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে কয়েকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে তাপসকে। ভেঙে পড়েছেন ঋতুপর্ণাও। বললেন, তাঁর প্রাণখোলা হাসিটাই শুধু মনে পড়ছে, যতদিন বাংলা ছবি থাকবে, ততদিন থাকবেন তাপস। এত শক্তিশালী অভিনেতা কম এসেছেন। এত তাড়াতাড়ি তিনি চলে যাবেন ভাবতে পারেননি তিনি।

নায়ক থেকে চরিত্রাভিনেতা- এই পরিবর্তন টলিউডে সব থেকে সহজভাবে করে দেখিয়েছিলেন তাপস। বললেন টোটা রায়চৌধুরী।

শেষ ১৫ বছর ধরে তাপসের প্রতিবেশী অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী দত্ত। থাকতেন উল্টোদিকের ফ্ল্যাটে। শুধু যে তাঁর সঙ্গে অনেক ছবি করেছেন তা নয়, নিয়মিত দেখা হত তাঁর সঙ্গে, কথা হত, তাপসের বাড়ির পুজোতেও যেতেন তিনি। শেষ কিছুদিন তাপস ভীষণ ভুগছিলেন। জানালেন ইন্দ্রাণী।

এক-দেড়মাস আগেও তাপসের সঙ্গে দেখা হয়েছে, উনি ভীষণ গল্প করতে ভালবাসতেন। এত বড় অভিনেতার কোনও বিকল্প পাবে না বাংলা ছবি। বললেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।