পুনা: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার সাফল্যের ওপর পুনার সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কার্যত ভাগ্য নির্ভর করছে। সিরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, এই টিকার পিছনে পারিবারিক সম্পত্তির ২৫০ মিলিয়ন ডলার খাটিয়েছেন তিনি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারী এই সংস্থা ইতিমধ্যেই ৪ কোটি করোনা টিকা তৈরি করেছে, তৃতীয় ও চূড়ান্ত দফার পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা।
এক সাক্ষাৎকারে আদার জানিয়েছেন, পরিবারের বিরাট অংশের সম্পত্তি এই টিকা উৎপাদনে লাগিয়েছেন তিনি। তাঁর বাবা, ভারতের ভ্যাকসিন কিং হিসেবে পরিচিত সাইরাস পুনাওয়ালা এত টাকা এই প্রকল্পে লাগানোর বিরোধী ছিলেন, তাঁর মতে, এটা জুয়োর সামিল। তিনি বলেন, দেখ, এটা তোমার টাকা। তুমি উড়িয়ে দিতে চাও, ভাল।
আদার পুনাওয়ালা বলেছেন, ২০২৪-এর আগে একাধিক করোনা টিকা আসার সম্ভাবনা নেই। তবে টিকায় কতদিন করোনা প্রতিরোধ করা যাবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের পর প্রতি ত্রৈমাসিকে অন্তত একটি করে করোনা টিকা বার করতে পারেন তাঁরা। এ জন্য তাঁরা আরও একটি কোম্পানি খুলেছেন, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ লাইফ সায়েন্সেস। এটি করোনা টিকা নিয়ে গবেষণা করবে।
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশ্বময় হইচই হচ্ছে। আদার পুনাওয়ালা টুইট করে বলেন, মানবশরীরে করোনার দীর্ঘমেয়াদি প্রতিক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, মনে হয় না, খুব শিগগিরই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হওয়া যাবে। কয়েক মাসের মধ্যে ফের আপনার করোনা হতে পারে, ফলে আগে থেকে সাবধান হন। একবার করোনা হলে শরীরে কী কী ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া দরকার।
অল্পদিন আগে আইসিএমআরের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক বলেছেন, সেরে ওঠার ৫ মাসের মধ্যে শরীর থেকে করোনা অ্যান্টিবডি যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে ফের করোনা হতে পারে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গবেষণাও জানিয়েছে, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর মানবশরীরে খুব দ্রুত অ্যান্টিবডির প্রভাব ফুরিয়ে যাচ্ছে।