জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আদিবাসী সমাজকর্মী সঞ্জয় কুজুর। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্র তারাই দখলে রাখবে। পাল্টা বিজেপি দাবি করেছে, যতই চেষ্টা করুক, তৃণমূলের কোনও লাভ হবে না।
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার তৃণমূল বিধায়ক সুকরা মুন্ডা। এক সপ্তাহ পর ওই এলাকা থেকেই এক আদিবাসী সমাজকর্মীকে দলে টানল রাজ্যের শাসক দল। সোমবার ওমপ্রকাশ মিশ্রের উপস্থিতিতে সঞ্জয় কুজুর নামে ওই আদিবাসী সমাজকর্মী তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন। সঙ্গে শতাধিক অনুগামী। তৃণমূলে সামিল হওয়ার পর কুজুর বলেন, ২০১২ সাল থেকে সমাজসেবামূলক কাজ করি, অনেকেই রাজনীতিতে নামার কথা বলেছিল, দল চাইলে বিধানসভা ভোটে লড়ব।
সুকরা মুন্ডা দল ছেড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আদিবাসী অধ্যুষিত নাগরাকাটায় নিজেদের প্রভাব অক্ষুণ্ণ রাখতে মরিয়া তৃণমূল। তাই কি আদিবাসী সমাজকর্মীকে দলে টানা? যদিও একথা মানতে নারাজ শাসক দল। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, সুকরার চলে যাওয়া তুচ্ছ ব্যাপার, ও বিভাজন করছিল, নাগরাকাটায় ফের জিতব আমরাই। মানুষের মধ্যে মমতার প্রতি সমর্থন বেড়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা মিলছে বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র।
অন্যদিকে তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। জেলা বিজেপি সভাপতির দাবি, তৃণমূল যতই নতুন মুখ আনুক, কোনও লাভ হবে না। তৃণমূলের নাটক, ভণ্ডামি মানুষ বুঝে গিয়েছে। জেলার সাতটি বিধানসভা আসনেই তাঁরা জিতবেন।