মুম্বই: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। জঙ্গি হামলায় পাকিস্তান সংযোগ উঠে আসায়, দুই দেশের মধ্যে নতুন করে সংঘাত বেড়েছে। সেই আবহেই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত, অধুনা ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পী আদনান সামিকে লক্ষ্য করে বিদ্রুপ উড়ে এল সীমান্তের ওপার থেকে। পাল্টা জবাব দিতে পিছপা হলেন না শিল্পীও। (Adnan Sami)

পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে যেমন অবনতি হয়েছে, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায় নাগরিকদের মধ্যেও কটাক্ষ, বিদ্রুপের বন্যা বইছে। সেই আবহেই আদনানকে নিশানা করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী ফাওয়াদ আহমেদ হুসেন চৌধরি। সেই নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিতণ্ডা বাধল। (India-Pakistan Conflict)

পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তানি নাগরিকদের অবিলম্বে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। সেই নিয়েই আদনানকে কটাক্ষ করেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান- তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ফাওয়াদ। তিনি লেখেন, ‘আদনান সামির তাহলে কী হবে?’ শুধু তাই নয়, আদনান যে একসময় স্থূলকায় ছিলেন, তা নিয়েও কটাক্ষ করেন ফাওয়াদ। লেখেন, ‘আমাদের লাহৌরি আদনান সামি, মনে হচ্ছে বেলুন থেকে হাওয়া বেরিয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি সুস্থ হোন’।

এতে কার্যতই ফুঁসে ওঠেন আদনান। ফাওয়াদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘এটাও ঠিক বলতে পারলেন না মূর্খ! আমার শিকড় পেশোয়ারে, লাহৌরে নয়। আপনি তথ্যবিভাগের মন্ত্রী ছিলেন, অথচ কোনও তথ্যই নেই আপনার কাছে! আমার না হয় হাওয়া নেই, কিন্তু আপনি এখনও বেলুন। আর আপনি বিজ্ঞান বিভাগেরও মন্ত্রী ছিলেন না? মুর্খামির বিজ্ঞানের?’

আদনানের বাবা পাকিস্তানের বাসিন্দা ছিলেন। মা ছিলেন জম্মুর। আদনানের জন্ম ব্রিটেনে। ২০০১ সাল থেকে ভারতে রয়েছেন আদনান। প্রথমে ভিজিটর্স ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। পাকিস্তান এবং কানাডার নাগরিকত্ব ছিল তাঁর। কিন্তু ২০১৫ সালে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানান আদনান। ২০১৬ সাল থেকে ভারতের নাগরিক আদনান। ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার জন্য আগেও কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল আদনানকে। সম্প্রতি পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তান যোগ উঠে আসায়, নিন্দায়ও সরব হয়েছিলেন তিনি।