দীপক ঘোষ ও বাচ্চু দাস, কলকাতা ও শিলিগুড়ি: আজ বিজেপির শহিদ সম্মান যাত্রার সূচনা হচ্ছে।  বিজেপির চার নেতা রাজ্যের চার প্রান্ত থেকে এই শহিদ সম্মান যাত্রায় অংশ নেবেন।  বিজেপি সূত্রে খবর, মিছিল, পথসভা করতে করতে এগোবে শহিদ সম্মান যাত্রা। 


মুরলীধর সেন লেন থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত শহিদ সম্মান যাত্রা করবেন সুভাষ সরকার। বিমানবন্দর থেকে বনগাঁ যাবেন শান্তনু ঠাকুর। জন বার্লা যাবে বাগডোগরা থেকে আলিপুরদুয়ার। নিশীথ প্রামাণিক বাগডোগরা থেকে কোচবিহার পর্যন্ত যাবেন।


যাত্রা শুরুর আগেই শুরু হয়েছে উত্তেজনা। এদিন এই যাত্রা উপলক্ষে যুব বিজেপি কর্মীরা শিলিগুড়িতে বিজেপির পার্টি অফিসে জমায়েত হলে পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।


সারা রাজ্যের পাশাপাশি শিলিগুড়িতে মঙ্গলবার যুব সংকল্প যাত্রার আয়োজন করে দার্জিলিং জেলা বিজেপি। এই যাত্রা অংশগ্রহণ করার কথা জেলার সাংসদ রাজু বিস্তা। 


সকাল থেকে বিজেপি যুব সংগঠনের সদস্যরা শিলিগুড়ি বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে জমায়েত শুরু করলে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ একে একে করে সংকল্প যাত্রায় অংশ নিতে আসা প্রায় ৩০ জন যুব সংগঠন সদস্যদের আটক করে শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে যায়।
  
এদিন শহিদ সম্মান যাত্রার সূচনার আগে মুরলীধর সেন লেনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গতকাল কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড ও আজকের কর্মসূচির আগেই গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে এদিন তিনি রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তোলেন। 


দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের হাড়-পাঁজর বেরিয়ে পড়েছে। তাঁর প্রশ্ন, কীসের ভয়? এরাজ্যে বিজেপির ৭৭ জন বিধায়ক, ১৮ জন সাংসদ রয়েছেন। মানুষ তাঁদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। কিন্তু, এরাজ্যের সরকার, তা মানতে চাইছে না। 


তিনি আরও বলেন, এভাবে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতন্ত্র রক্ষার চেষ্টা করা দুঃখজনক, নিন্দাজনক। তিনি বলেন, বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে, সংসদ অচল করছে তৃণমূল। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। 


উপস্থিত ছিলেন সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, এরাজ্যে ভোট পর্বে ও ভোট-পরবর্তী অধ্যায়ে যে সকল দলীয় কর্মী নিহত হয়েছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতেই এই শহিদ সম্মান যাত্রা।