আসাদাবাদ: জালালাবাদের পর এবার আসাদাবাদ। স্বাধীনতা দিবসে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আফগানিস্তান। জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ায় গুলি করা হয়েছে জমায়েতে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, যাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে । আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।
বুধবার জালালাবাদের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। জাতীয় পতাকাধারীদের দেখতেই গুলি করেছে তালিবান। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এদিন জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় বের হন আফগানবাসী। সেই জমায়েতের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় তালিবান জঙ্গিরা। এ প্রসঙ্গে আসাদাবাদের প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ সালিম জানান, জনতা রাস্তায় বের হতেই গুলি চালায় তালিবান। এরপরই ছোটাছুটি শুরু করে দেয় উত্তেজিত জনতা। যাতে পদপিষ্টের ঘটনাও ঘটে। মারা যান বেশ কয়েকজন। তবে প্রতিবাদকারীদের মৃত্যু তালিবানের গুলি না পদপিষ্ট হওয়ার জন্য হয়েছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত নয় কেউ।
তালিবানের হামলার বিষয়ে সংবাদ সংস্থা অলজজিরা জানিয়েছে, এদিন পুরুষ-মহিলা কাঁধে জাতীয় পতাকা নিয়ে মিছিল বের করেন।স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাস্তায় স্লোগান দিতে থাকে মিছিলকারীরা। 'আমাদের পতাকা-আমাদের পরিচয়' স্লোগান দেয় জমায়েতকারীরা।এরপরই মিছিলের ওপর গুলি চালায় তালিবান জঙ্গিরা। যাতে কমপক্ষে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮জন।
আফগানিস্তানের ইতিহাস বলছে, ১৯ অগাস্ট ব্রিটিশ রাজের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে আফগানিস্তান। এদিন সেই স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে নামলেই আফগানবাসীর ওপর হামলা করে তালিবান জঙ্গিরা। রবিবার তালিবান আফগানিস্তান দখলের পর থেকেই বদলে গিয়েছে দেশের পরিস্থিতি। তালিবান আতঙ্কে দেশ ছাড়ছে হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই বিমান ধরতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়েছেন তারা।
আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক অতীত বলছে, রবিবার তালিবান জঙ্গিরা রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতেই পালিয়ে যান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে জানানো হয়, সেদেশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট। মানবিকতার কারণে তাঁকে আমিরশাহিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এরপরই ভিডিয়ো বার্তায় নিজের বিষয় প্রকাশ্যে আনেন ঘনি। দেশ ছেড়ে পালানোর পর ফের দেশে আসার কথা বলেছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।