কাবুল(আফগানিস্তান) : ক্ষমতায় তালিবানরা। তার পর থেকেই চরম অরাজকতার চিত্র দেখা যাচ্ছে গোটা আফগানিস্তান জুড়ে। বিদেশিরা তো বটেই, দেশের একটা বড় অংশের মানুষ তালিবান-শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে মরিয়া। একে একে দেশ ছাড়ছেন অনেকেই। এখনও অনেকে দেশ ছাড়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই লক্ষ্যে সীমান্তে ঠাঁই দাঁড়িয়ে। একাংশ মানুষ অবশ্য কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও দেশ ছড়াতে ইচ্ছুক নয়। কিন্তু, আফগানিস্তানে থেকে তাঁরা চরম দুরবস্থায় কাটাচ্ছেন। আর্থিক ব্যবস্থায় ব্যাপক ধাক্কার কারণে জীবন-যাপনে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বিশেষ করে রাজধানী কাবুলে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে ব্যাপক হারে। আশরফ ঘনি সরকারের পতনের পর থেকে বন্ধ ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও। টাকা বদলানোর সবথেকে বড় মার্কেট সারাই শাহজাদাও বন্ধ রয়েছে বলে খবর খামা প্রেস সূত্রে খবর।


শুধু সাধারণ নাগরিকই নয়, সরকারি আধিকারিক ও বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাও একই রকমভাবে আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। কারণ, মাস শেষ হতে চললেও, তাঁদের বেতনের কী হবে তা নিয়ে কিছুই জানা নেই তাঁদের। ব্যাঙ্কে টাকা থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ তা তুলতে পরাছেন না। শনিবার সারাই শাহজাদার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেহেতু এই মানি চেঞ্জিং মার্কেট, সরাসরি আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডি আফগানিস্তান ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল, তাই এই সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক না খোলা পর্যন্ত এই মার্কেটও বন্ধ থাকবে। এমনটাই খবর খামা প্রেস সূত্রে।


তবে সরকারি ব্যাঙ্ক খোলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ঘোষণা নেই। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি অবশ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে। গত সপ্তাহে তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকে অসহনীয় অবস্থার মধ্যে চলছে গোটা দেশটা। প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি দেশ ছাড়ার পর ১৫ অগাস্ট আফগানিস্তান সরকারের পতন হয়। 


এদিকে তালিবানের দখলে থাকা আফগানিস্তান থেকে আজই দেশে ফিরলেন ৮৭ জন ভারতীয়। একই বিমানে কাবুল থেকে তাজিকিস্তান হয়ে দিল্লি পৌঁছেছেন নেপালের ২ জন নাগরিকও। এর পাশাপাশি, কাবুল থেকে আরও ১৬৮ জনকে নিয়ে আজ সকালেই দেশে ফিরছে বায়ুসেনার বিমান। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেসে পৌঁছবে বিমান।