কাবুল : স্বমহিমায় তালিবান। আফগানিস্তান থেকে উঠে আসছে একের পর এক হাড়হিম করা ছবি। কাবুল বিমানবন্দরে তালিবানের গুলি, পালাতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে আফগানিস্তানের ৭ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার একথা জানাল ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। 


তালিবান দখলে চলে যাওয়ার পরই আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া হাজার হাজার মানুষ। কাবুল বিমানবন্দরের দিকে ধেয়ে আসছে ভিড়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনা।


ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক মুখপাত্র বলেন, কাবুলে ভিড়ের মধ্যে যে সাত আফগানের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। 


তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকে চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে সেদেশে। বিদেশিরা তো বটেই, আফগানিস্তানের অনেক নাগরিকও দেশ ছাড়তে মরিয়া। কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁরা। যার ফলে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনা ও তাদের শরিকরা কার্যত অসহায় অবস্থায় পড়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ওখানকার পরিস্থিতি খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নিরাপদে যতটা করা সম্ভব আমরা তা করছি। 


ব্রিটেনের ডিফেন্স সেক্রেটারি বেন ওয়ালেস সংবাদ মাধ্যম মেল-কে জানিয়েছেন, কোনও দেশই সবাইকে বের করে নিয়ে আসতে পারবে না যতক্ষণ না আমেরিকার ৩১ অগাস্টের চূড়ান্ত সময়সীমা শেষ হচ্ছে। সম্ভবত আমেরিকানদের দীর্ঘদিন থাকার অনুমোদন দেওয়া হবে। ওদের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা রয়েছে।


এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যে আজ আফগানিস্তান থেকে থেকে উদ্ধার করা হয়ছে আরও ১৯৪ জন ভারতীয়কে। এদের মধ্যে ৮৭ জন প্রথমে কাবুল থেকে তাজিকিস্তানের দোসানবে হয়ে দেশে ফেরেন। বিমানে তাঁদের মুখে শোনা যায়, ভারত মাতা কি জয় ধ্বনি। একই বিমানে দিল্লি পৌঁছন নেপালের দুই নাগরিকও। পরে কাবুল থেকে আরও ১৬৮ জনকে নিয়ে দেশে ফেরে বায়ুসেনার বিশেষ বিমান। এদের মধ্যে ১০৭ জন ভারতীয়। বাকিরা বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এই বিমানেই ভারতে পৌঁছেছেন আফগানিস্তানের শিখ সাংসদ নরিন্দর সিং খালসা ও আফগান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্য আনারকলি হোনারিয়ার। এয়ার লিফটের জন্য মোদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।