কলকাতা : "তালিবানদের বিশ্বাস করা যাবে না। ওরা এখন এক কথা বলবে। পরের দিন তার অন্যটা করবে। আমরা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাকি বিশ্বের কাছে আবেদন করতে পারি যে, যেভাবে তাঁরা সিরিয়া, প্যালেস্তাইন ও অন্য যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের যত্ন নিয়েছেন, সেভাবেই আফগানিস্তানেরও দেখভাল করা হোক।" মঙ্গলবার কলকাতায় সংবাদ সংস্থা এএনআই-য়ের কাছে এই মন্তব্য করলেন খান আবদুল গফফর খানের দৌহিত্রী ও অল ইন্ডিয়া পাখতুন জিরগা ই হিন্দের প্রেসিডেন্ট ইয়াসমিন নিগর খান।


তিনি বলেন, "এখানে যেসব আফগান বসবাস করেন তাঁরা আফগানিস্তানে থাকা পরিবারকে নিয়ে চিন্তিত। গত দু-একদিন ধরে যা চলছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক। যুদ্ধ ছাড়াই ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। নেতারা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু, সেখানকার সাধারণ মানুষ, গরিব, মহিলা, শিশুরা ত্যাগ করে চলেছেন। ওদের দেখাশোনা করা উচিত।"


তালিবানরা রাজধানী কাবুলে প্রবেশের পর রবিবার আফগানিস্তান সরকার ভেঙে পড়ে। দেশত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনি। তালিবানরা কাবুলে ঢুকে রাষ্ট্রপতি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এদিকে তালিবানের ক্ষমতা দখলের সাথে সাথে সেদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকের মধ্যে দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়।


তালিবান আতঙ্কে নিজের মাটি ছেড়ে দূরে পালিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টার ছবি দেখা গেছে গতকালই। গতকাল উড়ন্ত বিমান থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর পরও দেখা যাচ্ছে মর্মান্তিক ছবি। কাবুল বিমানবন্দরের দিকে দৌড়াতে দেখা গেছে মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের।


এমনকী আমেরিকার বায়ুসেনার বিমানে ঝুলে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টাও করেন কেউ কেউ। তাতেই বিমান থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। যা এ পর্যন্ত আফগানিস্তান সংকটের অন্যতম ভয়াবহ চিত্র হয়ে উঠে এসেছে। শুধু কী তাঁরাই ! যাঁরা কোনওে ক্রমে বিমানে উঠতে পেরেছেন, তাঁরা ঠাসাঠাসি করেই বিমানে গেছেন।


এদিকে সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল করার পর দোহায় ভবিষ্যৎ সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছে তালিবান নেতারা।