ওয়াশিংটন (আমেরিকা) : বৈধতার খোঁজে তালিবানরা। দিচ্ছে প্রতিশ্রুতিও। কিন্তু, তাদের এনিয়ে আদৌও সদিচ্ছা আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে তিনি তালিবানকে বিশ্বাস করেন কি না জানতে চওয়া হয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, আমি কাউকেই বিশ্বাস করি না।  


হোয়াইট হাউস থেকে জাতীর উদ্দেশে ভাষণে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, আফগানিস্তানের মানুষের পাশে তালিবানরা দাঁড়াতে চাইলে, তাদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন পড়বে। এছাড়া অন্যান্য সাহায্যেরও দরকার হবে। 


তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কি তালিবানদের বিশ্বাস করেন ? এপ্রসঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি কাউকে বিশ্বাস করি না। তালিবানদের মৌলিক অধিকারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওরা কি আফগানিস্তানের মানুষের ভাল করার চেষ্টা করবে ? যা গত একশো বছরে কোনও গোষ্ঠী করেনি। যদি করার চেষ্টা করে, তাহলে তালিবানদের অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন পড়বে। এছাড়া বাণিজ্য ও অন্যান্য বিষয়ে সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে।


তাঁর সংযোজন, তালিবানরা বৈধতা খুঁজছে। ওরা দেখতে চাইছে কোনও দেশ ওদের স্বীকৃতি দেয় কি না। ওরা আমাদের পাশাপাশি অন্য দেশকেও বলেছে। ওরা চায় না, আমরা কূটনৈতিক উপস্থিতি সরিয়ে নিই। এখনও পর্যন্ত তালিবানরা আমেরিকার বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।


প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দেশ আফগানিস্তান থেকে তাদের দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার আবহেই এই মন্তব্য আমেরিকার প্রেসিডেন্টের। কাবুল বিমানবন্দর থেকে একে একে নিজেদের দেশের মানুষকে ফেরাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এই বিমানবন্দর এই মুহূর্তে আমেরিকার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে আজ দেশে ফেরেন ১৪৬ জন ভারতীয়। এখনও আটকে রয়েছেন অনেকে। সোমবার কাতার এয়ারওয়েজ, এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো ও ভিস্তারার বিমানে দেশে ফেরেন ১৪৬ জন। কাতারের সহযোগিতায় কাবুল থেকে তাঁদের প্রথমে দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফেরানো হয় ভারতে। এদের মধ্যে রয়েছেন কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মী।