কাবুল: তালিবানের 'পঞ্জশির(Panjshir)জয়ের' উদযাপনের বলি হতে হয়েছে ১৭ জনকে। শুক্রবার রাতে ঘটেছে এই ঘটনা। রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, জঙ্গিরা শূন্যে গুলি চালানোয় মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে অনেককে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তালিবানের সূত্র বলেছে, ''সর্বশক্তিমান আল্লার দয়ায় আমরা সারা আফগানিস্তান দখল করতে সমর্থ হয়েছি। সমস্যা সৃষ্টিকারীদের পরাজয় হয়েছে। পঞ্জশির এখন আমাদের দখলে। উপত্যকায় ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।'' যদিও পঞ্জশিরের তালিবান বিরোধী নেতা আহমেদ মাসুদ বলেছেন, ''পঞ্জশির দখল নিয়ে পাকিস্তানের(Pakistan) মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। যা পুরোপুরি মিথ্যে।" রয়টার্সের কাছে এই দাবি করেছেন মাসুদ।
এদিকে, পঞ্জশিরে তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে মুখ খুলেছেন আফগানিস্তানের(Afghanistan) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ''অবিলম্বে পঞ্জশির নিয়ে যুদ্ধ বন্ধ হওয়া উচিত। তালিবান ও বিরোধীদের আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।'' শনিবার এই খবর প্রকাশ করেছে 'টোলো নিউজ'।
শুক্রবারই তালিবানের দাবির মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ খোলেন আফগানিস্তানের 'স্বঘোষিত' প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ। এক ভিডিয়ো বার্তায় সালেহ জানান, তাঁর আফগানিস্তান থেকে পালোনোর যে খবর তালিবান রটিয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে।পঞ্জশির এখনও মাথা নোয়ায়নি।
বিবিসিকে দেওয়া এক অডিও বার্তায় সালেহ বলেন, ''আমার নামে যা বলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আমি পঞ্জশির উপত্যকায় আমার বেস থেকেই কথা বলছি।আমার সঙ্গে আমার কমান্ডাররা ছাড়াও রাজনৈতিক নেতারা রয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। অবশ্যই আমরা একটা কঠিন মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যেখানে আফগানিস্তানে আমরা তালিবান, পাকিস্তান, আল কায়েদা ছাড়াও আরও জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণ দেখতে পাচ্ছি।''
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি সালেহ। তিনি দাবি করেন, তালিবান বিরোধী গোষ্ঠী এখনও পঞ্জশিরে কোনও জমি হারায়নি। গত চার-পাঁচ দিন ধরে পঞ্জশির উপত্যকায়হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তালিবান। কিন্তু তাতে খুব একটা বড় সাফল্য পায়নি তারা। তিনি আরও জানান, তালিবানের সঙ্গে দেশে আক্রমণে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তানের সেনা।
তবে শুধু বিবিসি নয়, আমরুল্লা সালেহর ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ্যে এনেছে টোলো নিউজ আফগানিস্তান। এদিন তালিবানের তরফে দাবি করা হয়, দু'টি বিমানে করে তাজিকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছে সালেহ। তাঁর সঙ্গে পালিয়েছে সালেহর সহযোগী ও যোদ্ধারা।যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সালেহর বার্তায় ভুল ভাঙে আফগানিস্তানবাসীর।