কাবুল : রবিবার কাবুল সীমানায় পৌঁছে গেল তালিবানরা। আতঙ্কে সরকারি কার্যালয় ছেড়ে পালান কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের রাজধানীতে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসে অবতরণ করে হেলিকপ্টার। আফগানিস্তান সরকারের তিন আধিকারিক একটি সংবাদ সংস্থাকে জানান, রাজধানীর কালাকান, কারাবাঘ ও পাঘমান জেলায় তালিবানরা ঢুকে পড়ে। যদিও জালালাবাদ দখলের পর জঙ্গিরা আর অগ্রগতির কথা স্বীকার করেনি। 


এদিকে ভবিষ্যতের কথা ভেবে আফগানিস্তানের বহু নাগরিক ভয় পাচ্ছে। অনেকে ভিড় জমাচ্ছেন ব্যাঙ্কের সামনে। তাঁদের সংগৃহীত পুঁজি তুলে নেওয়ার জন্য। আজ সকালেই জঙ্গিরা অনলাইনে ছবি পোস্ট করে। নানগরহর প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের গভর্নরের অফিস দখলের ছবি। মাজার-ই-শরিফের উত্তরে তালিবান বিরোধী ঘাঁটি দখল করার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর রবিবার তালিবানরা পূর্বের মূল শহর জালালাবাদ দখল করে।  এর পাশাপাশি মদয়ান ওয়ার্দাকের রাজধানী ময়দান শার-ও দখল নেয় জঙ্গিরা। যা কাবুল থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে।  


আফগানিস্তানে একের পর এক শহর দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই নিজেদের নাগরিকদের বের করে নেওয়ার কাজ করছে অনেক দেশ। বন্ধ হচ্ছে দূতাবাসও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডেনমার্ক পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পশ্চিমী দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। চেক প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তানের দূতাবাস থেকে তাদের কর্মীদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে। 


যদিও তালিবান মুখপাত্র মহম্মদ সুহেল শাহীন জানায় যে, তারা কোনও দূতাবাস বা কূটনীতিককে টার্গেট করবে না। কোনও বিপদ নেই তাঁদের। আমরা আমাদের বিবৃতিতে অনেকবার বলেছি। এটি আমাদের অঙ্গীকার। 


এদিকে, আফগানিস্তানের মানুষের জন্য ভারতের অবদানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তালিবানরা। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে নয়াদিল্লির সাহায্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে তালিবানরা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে একটি সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র মহম্মদ সুহেল শাহীন জানায়, "আফগানিস্তানের জনগণের জন্য সেতু নির্মাণ, পরিকাঠামোর উন্নতিতে অনেক সাহায্য করেছে ভারত। এতে এখানকার অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য যা কিছু করা হয়েছে তার আমরা প্রশংসা করি।"