কলকাতা: বিহার জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গ দখলের নতুন স্লোগান তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর স্লোগান এবার বাংলা পারলে সামলা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

এ রাজ্যে একের পর এক দলীয় কর্মী-সমর্থক খুনের ঘটনায় তৃণমূলের দিকে লাগাতার আঙুল তুলছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে বিহারে জয়ের পর দিল্লির সদর দফতরে বিজয় সমাবেশে থেকে নাম না করে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, যারা গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের মোকাবিলা করতে পারছে না, তারা দেশের নানা প্রান্তে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মারছে। আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি না, জনতা তাদের শিক্ষা দেবে। ভোট আসবে যাবে কিন্তু মৃত্যুর এই খেলা চলতে পারে না। এভাবে কেউ জিততে পারে না। এটাই দেওয়াল লিখন।

এদিকে বিহারে জয়ের পর উজ্জীবিত বঙ্গ বিজেপি। তাদের গলায় এখন নতুন স্লোগান। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এবার বাংলা, পারলে সামলা।

বিহারে ‘কাঁটে কি টক্কর’-এর পর শেষ হাসি হেসেছে এনডিএ। আসন সংখ্যার নিরিখে নীতীশ কুমারের জেডিইউকে টপকে বিহারে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। আর এবার তাদের টার্গেট এ রাজ্য। দিলীপ বলেছেন, পশ্চিম ভারত থেকে জয়যাত্রা শুরু হয়েছে। এবার পূর্ব। উত্তর-পূর্বে আগেই জয় এসেছে, এবার আমাদের লক্ষ্য বাংলা। আমি শুধু একটা কথাই বলব এবার বাংলা, পারলে সামলা।

জবাবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, বাংলাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামলে নিয়েছেন। ওদের দরকার নেই। বাংলা অনেক ভাল আছে। বাংলায় এনকাউন্টার নেই। বাংলায় পিটিয়ে মারা হয় না।

তবে এ রাজ্যকে লক্ষ্য করে অনেকদিন ধরেই সলতে পাকাচ্ছে বিজেপি। বছর দুয়েক আগে অমিত শাহ বলেছিলেন, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে যতক্ষণ না সরকার বানাতে না পারছি, কর্ণাটক জিতে না নিতে পারছি, ততক্ষণ ভারতীয় জনতা পার্টির স্বর্ণযুগ আসা বাকি রয়েছে।

বিহার বিধানসভার ভোটের ফল বার হওয়ার আগে অবশ্য জয়ের স্বপ্নে বিভোর অধীর চৌধুরীর গলায় শোনা গিয়েছিল স্লোগান। তিনি বলেন, মমতা হারছে, বিজেপি হারছে, পারলে এবার সামলা বাংলা। বিহারে অধীরদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে! বাংলায় অবশ্য বিজেপির স্লোগানের সঙ্গে তাঁদের স্লোগান মিলে যাচ্ছে। যদিও, বাংলায় বিজেপি-তৃণমূল উভয়কে হারিয়ে জোটের জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাম-কংগ্রেস। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বাংলায় তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষ ভোট দেবে। জোটই হচ্ছে ভবিষ্যৎ। আমরা বরং বলব, এবার ভারত পারলে সামলা। কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানও বলেছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ। জানতে চায়, কোথায় ১৫ লক্ষ টাকা? এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপির নেতাদেরকে।