Twitter: চলতি বছর অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। তারপর থেকেই চলছে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ট্যুইটারের কর্মী সংখ্যা ৭০০০ থেকে নেমে এসেছে ২৭০০- তে (আনুমানিক সংখ্যা)। অর্থাৎ প্রায় ৫০০০ হাজার কর্মী ইতিমধ্যেই ট্যুইটার থেকে ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক। সম্প্রতি অবশ্য তিনি জানিয়েছেন যে ট্যুইটার থেকে আর কর্মী ছাঁটাই করা হবে না। বরং নতুন করে কর্মী নিয়োগ করা হবে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সেলস বিভাগে। এর মাঝেই প্রকাশ্যে এল নতুন তথ্য।


জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এবার জাপান, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিল থেকে নতুন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করতে চলেছে ইলন মাস্কের সংস্থা ট্যুইটার। ইলন মাস্ক ট্যুইটারের নতুন সিইও হওয়ার পর প্রায় ৯০ শতাংশ ওয়ার্ক ফোর্স কমিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ দেখা গিয়েছে, ২০০ জনের মধ্যে হয়তো হাতেগুনে ২০ জনের চাকরি বহাল রয়েছে। ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি কর্মীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইলন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে আরও বেশি সময় ধরে মনযোগ দিয়ে চাপ নিয়ে কাজ করতে হবে। নয়তো প্রতিযোগিতায় সমসাময়িক অন্যান্য সংস্থাকে পাল্লা দেওয়া যাবে না। আর যেসব কর্মী এমনটা করতে পারবেন না, তাঁরা ট্যুইটার থেকে বিদায় নিতে পারেন। পরিসংখ্যান অনুসারে, ইলন মাস্কের এই হুঁশিয়ারির পর অন্তত এক হাজার কর্মী ইস্তফা জমে দিয়েছেন।


ইলন মাস্ক ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তৎকালীন সিইও পরাগ আগরওয়ালকে বরখাস্ত করেন। সেই সময় শোনা গিয়েছিল আরও দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত উচ্চপদস্থ আধিকারিককেও সরিয়ে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এখানেই শেষ নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ট্যুইটার ইন্ডিয়ার প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছিলেন তিনি। এবার সেই ভারতে থেকেই নতুন করে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের পরিকল্পনা করেছেন ধনকুবের।


ট্যুইটার ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন


অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্যুইটার ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশনের লঞ্চ পিছিয়ে গিয়েছে। ট্যুইটারের ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশন এর আগেও একবার লঞ্চ হয়েছিল। তবে আচমকাই তা বন্ধ হয়ে যায়। ২৯ নভেম্বর এই ফিচার ফের লঞ্চের কথা ছিল। কিন্তু আবার তা পিছিয়ে গিয়েছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। ট্যুইটারের এই ব্লু টিক সাবস্ক্রিপশনের ক্ষেত্রে মাসে ৮ ডলারের বিনিময়ে যেকোনও ইউজার সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ এই পরিমাণ টাকা দিলেই তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে যুক্ত হবে ভেরিফায়েড ব্লু টিক মার্ক। আগে এই ব্লু টিক পাওয়ার জন্য ইউজারদের আবেদন করতে হত। সেখানে নিজেদের সম্পর্কে তথ্যও দিতে হত। সেইসব তথ্য ভেরিফিকেশন করার পর ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিত যে কোন ইউজারকে ব্লু টিক ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন- আইফোন ১৪- র দামে ব্যাপক ছাড়, কেনা যাবে ৬০ হাজার টাকারও কমে, কোথায় পাবেন এমন সুযোগ?