মথুরা: মথুরার গোবর্ধন এলাকায় একটি মসজিদের ভেতর হনুমান চালিশা পাঠ করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মথুরা পুলিশ সুপার গৌরব গ্রোভার জানান, পুলিশ ও প্রশাসন সবকিছুর ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নজর রেখেছে। তিনি বলেন, যদি কেউ অশান্তি সৃষ্টি করে বা কোনও ধর্মীয় স্থানের সম্মানহানি করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
মথুরার জেলাশাসক রাম মিশ্র বলেন, কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনও ব্যক্তি যদি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, রবিবার মথুরার নন্দভবন মন্দিরে নমাজ পড়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় ফয়জল খান সহ চারজনের বিরুদ্ধে। সোমবার দিল্লি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
রবিবারই উত্তরপ্রদেশ পুলিশে ফয়জল ও তার তিন সঙ্গী চাঁদ মহম্মদ, অলোক রতন ও নীলেশ গুপ্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন মন্দিরের পুরোহিত কানহা গোস্বামী।
অভিযোগ, দুজন মন্দিরে নমাজ পড়ে, বাকি দুজন সেই ঘটনার ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। চারজনের বিরুদ্ধে শত্রুতা ছড়ানো, অন্যের প্রার্থনাস্থলে অপবিত্র করা, অন্যের ভাবাবেগে আঘাত করা ও জনসমক্ষে কুকীর্তি করা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার দিল্লি পুলিশ এই চারজনকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। কেন তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, সেই নিয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
মঙ্গলবার ফয়জালকে ১৪-দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।