উন্নাও, উত্তরপ্রদেশ : পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বিধানসভা ভোটের উত্তেজনা। ১৫ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে যোগীর রাজ্যে। চার দফা নির্বাচনের ভোটের ফলপ্রকাশ ২ মে। যাকে ঘিরে রাজনৈতিক উন্মাদনা শুরু হয়েছে ইউপিতে। ভোটারের মন জিততে নিত্য নতুন ছক সাজাচ্ছেন প্রার্থীরা। 'ফেল কড়ি-দেব ভোট'-এর রাস্তায় না হেঁটে ভিন্ন পথ ধরেছেন প্রার্থীরা। এর আগে আমরোহায় রসোগোল্লা ও বাগপতে লাড্ডু বিতরণের খবর মিলেছিল। এবার সিঙারা, জিলিপি দিয়ে বিপাকে পড়লেন পঞ্চায়েত প্রার্থী।


ভোটারদের জন্য ২ কুইন্টালের বেশি জিলিপি ও সিঙারার আয়োজন করেছিলেন ওই প্রার্থী। উন্নাওয়ের হাসানগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই বিশাল আয়োজন করেছিলেন তিনি। যদিও তাঁর সেই চেষ্টা বিফলে যায়। আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রার্থী-সহ ১০ জনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এমনকী করোনাকালে এই ধরনের খাবার বিলির কাজ করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনেও মামলা করা হয়। যথাক্রমে ১৮৮, ২৬৯, ১৭১ এবং ২৭০ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। 


এ বিষয়ে হাসানগঞ্জের ইনস্পেকটর মুকুল প্রকাশ বর্মা বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের পদপ্রার্থীর স্বামীর নির্দেশেই এই খাবারদাবারের আয়োজন হয়েছিল। খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে খাবার বিতরণের কাজ চলছিল। ১০ জন মিলে গ্রামবাসীদের মধ্যে এই খাবার বিলোচ্ছিলেন।  


তবে উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত ভোটে এই ধরনের নিয়ম না মানার ঘটনা নতুন নয়। গত সপ্তাহেই আমরোহায় সোহনবীর নামের এক পঞ্চায়েত প্রধান পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ১০০ কেজি রসোগোল্লা পাওয়া যায়। ভোটারদের মন পেতে এই ভেট-যজ্ঞে নেমেছিলেন তিনি। একই কাণ্ড ঘটে বাগপতে। সেখানে মহম্মদ জব্বার নামের এক প্রার্থী ভোট পেতে লাড্ডু বিতরণের পথ নেন। বিশাল পরিমাণে লাড্ডু তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। ঘটনাচক্রে বিশাল মেশিনের মাধ্যমে ছোলার আটা, চিনি মেশানোর সেই ভিডিও প্রকাশ্যে চলে আসে। তড়িঘড়ি ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়।