নিউ ইয়র্কের ওষুধ কোম্পানি ফিজার তাদের টিকার পরীক্ষা করিয়েছে দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে। তাদের দাবি, রাশিয়ার স্পুটনিক ৫-এর পর তাদের টিকাও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পেয়েছে। এছাড়া ব্রিটিশ সরকারও আর একটি করোনা টিকার ৩ কোটি ডোজের অর্ডার দিয়েছে, তাদের দাবি, সেটি করোনা রুখতে সক্ষম। তবে এই সব টিকা আদতে কার্যকর কতটা তা জানা না গেলেও বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এমনভাবে গড়ে তোলার, যাতে তার মনে হয়, সেটি করোনা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ও তখন নিজে থেকে শরীরে গড়ে তোলে প্রতিরোধী শক্তি। আদতে কাউকে অসুস্থ করে না তুলেই করোনার বিরুদ্ধে শরীর যাতে নিজে থেকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হতে পারে তাই এই ব্যবস্থা।
১২ তারিখের নেচার জার্নাল জানিয়েছে, ফিজারের এই টিকার নাম আপাতত বিএনটি১৬২বি১। এটি দেওয়া হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, দ্বিতীয় ডোজে তা আরও শক্তিশালী হয়। এমনিতে এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, তবে কোনও কোনও স্বেচ্ছাসেবীর এই ডোজ নেওয়ার পর ইঞ্জেকশনের জায়গায় একটু ব্যথা হয়েছে, ক্লান্তি, জ্বর, নিদ্রাহীনতা মাথা ধরার মত উপসর্গও রয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এই সবই কেটে যাবে বলে গবেষকরা দাবি করেছেন।