নয়াদিল্লি: কবে হাতে আসবে নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন, এহেন জল্পনার মধ্যেই রাশিয়া গোটা বিশ্বে সবার প্রথমে কোভিড-১৯ ঠেকানোর নিরাপদ, সুরক্ষিত দাওয়াই বের করার কথা সরকারি ভাবে ঘোষণা করেছে। সেই ভ্য়াকসিনের নাম তারা রেখেছে স্পুটনিক-৫। মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভ্যাকসিন বের করার কথা ঘোষণা করেন এবং তার প্রথম ডোজটি নেন পুতিনের মেয়ে। রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মহামারী ও মাইক্রোবায়োলজি সংক্রান্ত গামেলিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার এটি বানিয়েছে। তবে ঘোষণার পর থেকেই তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে নানা মহল থেকে।
আজ রাশিয়ার দাবিকে চ্যালেঞ্জ করলেন বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি কিরণ মজুমদার শ। রাশিয়ার পৃথিবীর প্রথম সুরক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এ ব্যাপারে ক্লিনিকাল পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যের অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যত্র ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ‘আরও উন্নত’ কর্মসূচি চলছে বলেও উল্লেখ করেছেন।
মস্কোর গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় দফার যে ট্রায়াল বা পরীক্ষা চালিয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও নথি, তথ্য গোটা বিশ্ব দেখেনি বলে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরু-কেন্দ্রিক বায়োকন লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ চেয়ারপার্সন কিরণ। তিনি বলেছেন, ফেজ থ্রি বা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ভ্য়াকসিন বের করা যদি রাশিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য, মেনে নেওয়ার মতো বিষয় হয়, তবে তা-ই হোক। কিন্তু তাকে কোনওভাবেই বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন বলা যায় না কারণ একাধিক অন্য ভ্যাকসিন কর্মসূচি বিশ্বে চলছে, যেগুলি অনেক উন্নত পর্যায়ে রয়েছে।