নয়াদিল্লি: তবলিঘি জামাতের কিছু লোকজনের ভুল, অন্যায়ের জন্য গোটা মুসলিম সম্প্রদায়কে কাঠগড়ায় তোলা, ভিলেন বানানো উচিত নয় বলে অভিমত জানালেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। তবলিঘি জামাতের বিরুদ্ধে সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিং বিধি উড়িয়ে গত মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে ধর্মীয় সভার আয়োজন ও সেখান থেকেই ব্যাপক হারে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এজন্য পুরো মুসলিম সমাজের দিকে আঙুল তুলেছে নানা মহল। কিন্তু নকভি বলেছেন, একটি গোষ্ঠীর অপরাধের জন্য পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে দোষী বলা যায় না।
দিনকয়েক আগে ভারতে ইসলামভীতি ছড়ানোর অভিযোগ তুলে উদ্বেগ জানায় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)। কিন্তু তা নাকচ করে নকভি জানিয়ে দেন, মুসলিমদের কাছে ভারত ‘একটা স্বর্গ’ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভারতে কোনও ‘রাজনৈতিক ফ্যাশন নয়’, একটা ‘আবেগ’। কোনও কোনও মহল থেকে সমালোচনা হয় যে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর ইস্যুতে জামাত সদস্যদের কাঠগড়ায় তুলে গোটা মুসলিম সমাজকেই ভিলেন করে দেখানো হচ্ছে। সে ব্যাপারেই ওআইসি মুখ খুলেছিল। নকভি তখন ওআইসিরও সমালোচনা করে বলেন, ভারতীয় মুসলিমদের সমৃদ্ধি, বিকাশের আবহাওয়াকে যারা বিষিয়ে তোলার চেষ্টা করছে, তারা কখনও ওদের বন্ধু হতে পারে না।
আজ মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আজ শুরু হওয়া পবিত্র রমজান মাসে জাতীয় স্তরে লকডাউন বিধি পালনের আবেদনও জানান নকভি। বলেন, মুসলিমরা রমজান পর্বে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ববিধি পুরোপুরি মানবেন, আমার এই বিশ্বাস আছে।
ইসলামিক সেন্টার অব ইন্ডিয়া, দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড সমেত মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী একাধিক সংগঠনও রমজানের সময় প্রতিদিনের প্রার্থনা ঘরেই সারতে আবেদন করেছে, মসজিদগুলিকেও বলেছে, তারা যেন করোনাভাইরাস অতিমারী রোখার সরকারি গাইডলাইন সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করে। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের অ্যাডভাইসরি মতে, সাধারণ মুসলিমরা রমজানের সময় ঘরে বসেই নমাজ পড়ুন, তবে ইমাম, মুয়াজ্জিন, মুতওয়ালিরা মসজিদে প্রার্থনা করুন। তারা প্রতিবার আজানের পর, অন্য সময়ও লাউডস্পিকারের মাধ্যমে গাইডলাইনগুলি ঘোষণা করতে বলেছে মসজিদগুলিকে।