শ্রীরামপুর : আজও থমথমে হুগলির শ্রীরামপুর। রবিবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় শ্রীরামপুর। অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করেছে বিজেপি নেতার কবীরশঙ্কর বসুর দেহরক্ষী সিআইএসএফ জওয়ানরা। ঘটনায় আহত কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত ধর্নায় বসেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপাতত নিজের আবাসনেই রয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সিআইএসএফ-এর দেহরক্ষীরাও।  এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে চন্দননগর কমিশনারেটের অফিসার ও পুলিশ কর্মীদের। শ্রীরামপুরে বটতলা মোড়ে জিটি রোড অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, গতকাল বিজেপি নেতার দেহরক্ষীদের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন তিনজন তৃণমূল কর্মী। আজ ঘটনাস্থলে আসার কথা সিআইএসএফ আধিকারিকদের।

ঘটনার সূত্রপাত, রবিবার রাত আটটা নাগাদ বল্লভপুরের একটি আবাসনে। আবাসন থেকে গাড়ি বের করছিলেন বিজেপি নেতা কবীরশঙ্কর বসু। জানা গিয়েছে, সেই সময় আবাসনের সামনে বৈঠক করছিলেন পুরসভার কর্মী, তৃণমূল কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়ি বের করা নিয়ে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, বচসার মধ্যেই বিজেপি নেতার দেহরক্ষীরা তৃণমূলকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন।

তৃণমূলের দাবি, লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন কয়েকজন দলীয় কর্মী। এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলকর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীদের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্নায় বসেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় ফেরার পথেই প্রতিবাদে সামিল হন তিনি। যদিও লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। কবীরশঙ্কর বসুর দাবি, তৃণমূলই ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। একদিকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ। পটাশপুর থেকে বারুইপুর, রাজ্যের ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সেই রাজনৈতিক উত্তাপের রেশই যেন রবিবার রাতে ছড়িয়ে পড়ল হুগলির শ্রীরামপুরে।